লেখালেখি

Tag: প্যারিস

সাড়ে সাত ঘণ্টা / ২য় পর্ব

( প্যারিসের বুকে প্রিয় লেখকদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ঘোরার গল্পের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব। প্রথম পর্বটা পড়া যাবে এইখানে।)

আরো খানিক পরে আমাদের পরিচিত পর্যটককে দেখা যায় তার ছোট্ট সবুজাভ ব্যাগটি পিঠে ঝুলিয়ে লুক্সেমবার্গ উদ্যান থেকে বেরিয়ে সিন নদীর দিকে হাঁটা দিতে। বিকেলের আলোতে রাস্তায় এখন লোকজন বেড়েছে, তার মাঝে অধিকাংশকেই ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি বলে বোধ হয়। ফলে হাঁটতে সুহানের চমৎকার লাগে। একটু কল্পনা করলে নিজেকে সে এমনকি আবিষ্কার করতে পারে ১৯৬৮ এর মে মাসে, ছাত্রজনতার সাথে পথে নেমে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি এঁকে সে সরকারের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে, তেমন খোয়াবটিও বেশ করে মন্থন করা হয় খানিক। তবে এই কল্পনা প্রবণতার ফলটা সুহান হাতেনাতে পায়। একটা তিন রাস্তার মাথায় এসে সে ভুল পথে খানিক দূরে চলে যায় গন্তব্য হতে, সন্দেহ হওয়ায় তাকে পুনরায় ঠিক লাইনে ফিরতে হয় সেই গুগল ম্যাপ দেখেই।

সাড়ে সাত ঘণ্টা / ১ম পর্ব

সিম্‌তিয়ের দ্যু মোঁপার্নাস (Cimetière du Montparnasse)-কে পাশ কাটিয়ে যাবার সময় সেটার অনাড়ম্বর ফটকটার দিকে সুহান একটু সম্ভ্রম নিয়ে তাকায় ঠিক, তবে তা মুহুর্তের জন্যেই। বিশাল এই সমাধিক্ষেত্রটা সে ঘুরে দেখতে চায় কখনো। কিন্তু তাড়াহুড়োয় নয়; দীর্ঘ সময় নিয়ে, একটু একটু করে শিশুসুলভ আনন্দে সে আবিষ্কার করতে চায় কোথায় শুয়ে আছেন জাঁ পল সাত্রে, সিমন দ্য বোভোয়ার কিংবা হুলিও কোয়ার্তাজার। আজকের পরিকল্পনায় যেহেতু সিম্‌তিয়ের দ্যু মোঁপার্নাসের জায়গা নেই, এদিকে আর তাকিয়ে তবে ফায়দা কী? চোয়াল শক্ত করে সুহান তাই এগিয়ে যায়, লা ক্লোজরি দে লিলা (La Closerie Des Lilas) জায়গাটা সামনের চৌরাস্তার আশপাশেই কোথাও হবে, কাউকে জিজ্ঞেস করলেই খুঁজে পাবার কথা।

Powered by WordPress & Theme by Anders Norén

error: Content is protected !!