লেখালেখি

Tag: বর্ণালী সাহা

লেখকের ভাবনায় অনলাইন

একবিংশ শতাব্দীর প্রায় কোয়ার্টার সেঞ্চুরি পেরিয়ে অনলাইনকে কেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের লেখকেরা?

সত্যি বলতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সুবাদে পছন্দের লেখকদের অনুসরণ করা পাঠকের জন্য এখন আর দুরুহ নয়। অনলাইনের কর্মকান্ড দেখেই আমরা অনলাইন প্রসঙ্গে কোনো লেখকের মনোভাবের একটা গড় আন্দাজ পাই। তবু, অনুভব করি- সরাসরি তাদের এ সংক্রান্ত ভাবনা শুনতে পারলে আরও ভালো হয়।

ব্যক্তিগত এই ওয়েবসাইটের ৫ বছর পূর্তিতে আমি তাই চেনা কজন সমকালীন লেখকের কাছে হাজিরা দেই অনলাইন ব্যবহারের পেছনে তাদের ভাবনাটা জানতে। সচরাচর কী করেন তারা মূলতঃ ফেসবুক ভারাক্রান্ত অনলাইন জীবনে, কীভাবে অনলাইনে পাঠকের সাথে তারা মিথস্ক্রিয়া করছেন, সেই সক্রিয়তা কীভাবে প্রভাব ফেলছে তাদের লেখার অভ্যাসে- এমন সব প্রশ্ন করে বুঝে নিতে চাই তাদের অনলাইন ব্যক্তিত্বের ধাঁচটাকে।

২০২৩ এর বইঃ জবরখাকি

[২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বইগুলো পড়া শেষে আমার এলোমেলো অনুভূতি গুছিয়ে রাখার জন্য এই ধারাবাহিক। আশা করি, এই স্বেচ্ছা-উদ্যোগ চালু থাকবে বছর জুড়েই। ধারাবাহিকের আজকের পর্বে থাকলো বর্ণালী সাহার গল্প-সংকলন ‘জবরখাকি’ নিয়ে আলাপ।]

(১)
যুগটা এখন পলিটিকাল কারেক্টনেসের, বাংলা সিনেমার মতো ড্রেসিং-গাউন গায়ের পাইপ টানা চৌধুরী সাহেবদের হাতে অনলাইনে লেখকদের নিল-ডাউন হবার দৃশ্য আজকাল অতি পরিচিত। ইদানিং নাকি ‘লোলিতা’ লেখার জন্য নবোকভকেও ডাকা হচ্ছে শিশুকামী বলে।

কিন্তু সাহিত্যের কাজ কি এসব পলিটিকাল কারেক্টনেসের  গুষ্টি মেরে ব্যক্তিগত অনুভূতির অস্বাভাবিকতাকেই আবিষ্কার করা নয়? অন্য দশজন যা এড়িয়ে যাচ্ছে স্বভাব বশে, লেখকের কাজ কি চিরকাল সেখানেই নজর রাখা না? উদাহরণ হিসেবে যদি প্রেম বিষয়টাকেই বেছে নেই; হাত ধরে রমনা পার্কে বসে বাদাম খাওয়া আর প্যারিসের রাস্তায় কাব্যিক ও কোটেবল বাক্য উচ্চারণের বাইরেও কি সেই প্রেমের একটা কালো রুপ নেই? এমনও তো প্রেম আছে, যা ভেঙে গেলে ছোঁড়া হয় এসিড আর অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয় ভিডিও? সেই সব অস্বাভাবিকতার গল্প বলাটাও কি লেখকের কাজ নয়?

কফিশপের মানুষেরা

বর্ণালী সাহার ‘দ্যা নর্থ এন্ড’ উপন্যাসটি পড়বো বলে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়নি আমার দুটো কারণে। ফেসবুক মারফত নজরে আসা মাত্র মনে হয় যে, কি নামকরণে কি প্রচ্ছদে, এই উপন্যাসটি বেশ অভিনব। তদুপরি বিক্ষিপ্তভাবে নানা জায়গায় বর্ণালীর টুকরো টুকরো রচনাগুলো যা পড়া হয়েছে, তাতে করেও তার গদ্যে বেশ আস্থা স্থাপিত হয়। বর্ণালীর প্রথম উপন্যাস হিসেবে ‘দ্যা নর্থ এন্ড’কে সংগ্রহ করাকে কর্তব্য নির্ধারণে আমি তাই দ্বিধান্বিত হইনি।

অথচ মার্চের এক সন্ধ্যায়, ঘন্টা তিনেক টানা পড়ে শেষ করে ফেলবার পর, ‘দ্যা নর্থ এন্ড’ নিয়ে কিছু বলতে গিয়ে আমার ভেতরে বেশ দ্বিধা চাপে, বিক্ষিপ্ত বলে মনে হয় নিজেকে।

ক্যানো এই উপন্যাস বিক্ষিপ্ত করে তোলে পাঠককে?

Powered by WordPress & Theme by Anders Norén

error: Content is protected !!