তাজউদ্দীনের সাথে ছেলেবেলায় আমার ঠিক পরিচয় হয়নি। বিপরীত শব্দ আর পাটিগণিতের ফাঁক গলে সুদূর শৈশব থেকে আবছা হয়ে কখনো কখনো তিনি উঁকি মারেন সামাজিক বিজ্ঞান বইতে, তার জন্য বরাদ্দ হয়ে রয় কিছু নীরস দাপ্তরিক শব্দ বড়জোর, নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ফলে, তাজউদ্দীন কখনো আমাদের হয়ে ওঠেন না। শৈশবের- তখনো সহনীয় যানজটের-ঢাকায় একটি ল্যাম্পপোস্টের বেশি কিছু তিনি নন; তিনি তখনো মাস্টারের নিয়মমাফিক প্রশ্নপত্রের জবাবে উগড়ে আসা উত্তরে, মুক্তিযুদ্ধের একটি অব্যয় মাত্র।
ভাবি- সেই তাজউদ্দীন আজ কোথায়? ক্যামন আছেন তিনি?