[সাধারণভাবে, যে কোনো ধরনের আলোচনা সভা আমি এড়িয়ে চলি। বিশেষ করে বিষয়বস্তু যদি একটু ভারী ধরনের হয়, তাহলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বক্তাদের প্রজ্ঞা আরও সহ্য হয় না। কিন্তু শুভ কিবরিয়া ভাই পুরোনো সুহৃদ বলে তার আমন্ত্রণ এড়াতে পারলাম না, ফলে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর একটা আলাপে যেতে হলো ২৩ নভেম্বর, ২০২৪। শিরোনামটা বেশ জটিলঃ জ্বালানি রুপান্তরের সন্ধিক্ষণে সাহিত্য ও সংস্কৃতিজনের দায় ও দরদ।
সত্যি বলতে, মূল ব্যাপারটা শিরোনামের মতো অত কঠিন নয়। মূল প্রবন্ধ রচয়িতা ড কাজল রশীদ শাহীনের বক্তব্যটা সহজ করে বললে, তা দাঁড়ায় এমনঃ কার্বন নিঃসরণ তথা পরিবেশ দূষণ হ্রাসকল্পে দুনিয়া এখন জীবাশ্ম জ্বালানি (ফসিল ফুয়েল) থেকে ঝুঁকে যাচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তি (রিনিউয়েবল এনার্জি)-এর দিকে, জ্বালানি রুপান্তরের এই চাহিদাটা গণমানসে ছড়িয়ে দিতে সংস্কৃতিজনের একটা ভূমিকা রাখা দরকার। দরকার– লেখাজোখা, গান বা চলচ্চিত্র নির্মাণের মতো শিল্পমাধ্যমগুলোয় নতুন দিনের এই চাহিদাটা তুলে আনা।