(১)
সমসাময়িক কোনো লেখকের মাথায় ঢোকার জন্য এমনকি দুই দশক আগেও পাঠকের রাস্তা ছিলো একমুখী। একজন লেখক কী ভাবছেন কোনো বিষয়ে, কী পর্যবেক্ষণ বা মতামত তার কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে- তা জানতে পাঠকেরা তখন নির্ভর করতেন উদ্দিষ্ট লেখকের লেখা বা বক্তব্যের ওপরেই কেবল। অনলাইনের উত্থান এখন কমিয়ে দিয়েছে পাঠকের সেই বাধা। পাঠকের জন্য পত্রিকা কি বইয়ের মোড়কে পেশ করা লেখা ছাড়াও লেখকরা আছেন ব্লগে, ফেসবুকে; সেখানে তারা জায়েদ খানের রোলেক্স থেকে আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায় অক্লেশে মতামত প্রদান করেন নিয়মিত। আর এই দ্বিতীয় ধারার টেক্সটও পাঠকের মাথায় তৈরি করতে থাকে লেখকের দ্বিতীয় একটা সত্ত্বা। সমকালের লেখক এনামুল রেজাকে পড়তে গেলে ওই দ্বিতীয় সত্ত্বা কি কিছুটা ছায়া ফেলে পাঠকের মনে?
Tag: এনামুল রেজা
একবিংশ শতাব্দীর প্রায় কোয়ার্টার সেঞ্চুরি পেরিয়ে অনলাইনকে কেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের লেখকেরা?
সত্যি বলতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সুবাদে পছন্দের লেখকদের অনুসরণ করা পাঠকের জন্য এখন আর দুরুহ নয়। অনলাইনের কর্মকান্ড দেখেই আমরা অনলাইন প্রসঙ্গে কোনো লেখকের মনোভাবের একটা গড় আন্দাজ পাই। তবু, অনুভব করি- সরাসরি তাদের এ সংক্রান্ত ভাবনা শুনতে পারলে আরও ভালো হয়।
ব্যক্তিগত এই ওয়েবসাইটের ৫ বছর পূর্তিতে আমি তাই চেনা কজন সমকালীন লেখকের কাছে হাজিরা দেই অনলাইন ব্যবহারের পেছনে তাদের ভাবনাটা জানতে। সচরাচর কী করেন তারা মূলতঃ ফেসবুক ভারাক্রান্ত অনলাইন জীবনে, কীভাবে অনলাইনে পাঠকের সাথে তারা মিথস্ক্রিয়া করছেন, সেই সক্রিয়তা কীভাবে প্রভাব ফেলছে তাদের লেখার অভ্যাসে- এমন সব প্রশ্ন করে বুঝে নিতে চাই তাদের অনলাইন ব্যক্তিত্বের ধাঁচটাকে।