একুশে ফেব্রুয়ারি এগিয়ে এলেই কয়েক বছর ধরে একটা বিষয় লক্ষ করি। ‘বিতর্ক’ বললে ব্যাপারটা খানিক ভারি হয়ে যায় অবশ্য। তার চেয়ে এভাবে বলি, যে এক ধরনের মত-দ্বৈততা বা দ্বিধা চোখে পড়ে তারিখটাকে ঘিরে। কেউ একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ দিবস/ভাষা-শহীদ দিবস’ বলেন, কেউ বলেন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’।
সত্যি বলতে, আমাদের ছেলেবেলার স্মৃতিতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বলে কিছু নেই। একুশে ফেব্রুয়ারি তখনও বাঙালির নিতান্ত ঘরোয়া অনুষ্ঠান। গলির মোড়ে মাইকে আবদুল গাফফার চৌধুরীর অমর লাইনগুলো শোনা যেতো, স্থানীয় সব শহীদ মিনারে বাচ্চাদের ফুল রাখার সাথে বাজতো আলতাফ মাহমুদের সুর, সব মিলিয়ে গোটা ব্যাপারটা ছিলো তীব্র আবেগের অথচ আটপৌরে। সেই ১৯৫২-তে সরকারের আরোপ করা ১৪৪ ধারা ভেঙে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করবার দাবিতে মিছিল করা সালাম-বরকতদের ওপর গুলি চালানো আমাদের দিনটাকে করে তুলতো শোকের।