লেখালেখি

Category: টিভি সিরিজ

আজও অ্যালান পো

(১)
টিভি-ধারাবাহিক কিংবা সিনেমার ক্ষেত্রে ‘অমুক লেখকের রচনা অবলম্বনে’ কথাটা যখনই ব্যবহার করা হয়, সম্ভাব্য দর্শকদের মাঝে তখন একটা বাড়তি সাড়া পড়ে। নির্মাতার দিক থেকে ব্যাপারটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞাপণ-মার্কা প্রচার, নিঃসন্দেহে। কিন্তু দর্শক যখন শোনে যে অমুক কাজটা তমুক লেখকের রচনা অবলম্বনে, ধারণা করি, তার ভেতরে সেই তথ্য তখন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে দু’ভাবে। (ক) যখন সেই নির্দিষ্ট রচনাটা তার পড়া থাকে না, কেবল জানা থাকে নাম-ধাম-রচয়িতা বিষয়ক তথ্য; সে তখন ওই টিভি-ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখে স্বাদ পেতে চায় মূল গল্পের। ভাব এমন থাকেঃ খুব তো নাম শুনছি, দেখি না- ওই হ্যারি পটার জিনিসটা কেমন। এবং (খ) যখন মূল গল্পটা তার পড়া থাকে, তখন সে জিনিসটা দেখতে চায় নিজের ভেতরের কল্পনার সাথে নির্মাতার কল্পনা কতটা মিলেছে- সেটা দেখার জন্য।

টিভি সিরিজের বিদায়ে

আগস্টের ডেঙ্গু মহামারিতে টইটম্বুর শহরে মাঝরাতেরও বেশ কিছু সময় পরে দেখে ফেললাম বিগ ব্যাং থিওরি’র শেষ পর্ব, বারো মৌসুমের সমাপ্তি। বলতেই হবে, শেষ দু পর্বের শুরুতে যখন টুকরো সব দৃশ্যের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছিলো প্রথম মৌসুমের প্রথম পর্ব থেকে শুরু করে কাহিনির সুতো ধরিয়ে যাওয়া বিন্দুগুলো; এক ঝলকে গত একটা দশক যেন স্পষ্ট হয়ে উঠলো চোখের সামনে।

‘গেইম অফ থ্রোন্স হেঁটেছে বিপ্লব আর নারী নেতৃত্বের জুজু দেখানো পথেই’ : স্লাভোয় জিজেক

স্লোভেনিয়ান দার্শনিক স্লাভোয় জিজেক আলোচনা করেছেন সদ্য সমাপ্ত টিভি সিরিজ গেইম অফ থ্রোন্সের রাজনীতিক দর্শন নিয়ে। ২৩ মে, ২০১৯-এ ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর মতামত বিভাগে প্রকাশিত উক্ত আলোচনাটি এখানে অনুবাদ করা হলোঃ 

গেইম অফ থ্রোন্সের শেষ সিজন দেখে মানুষের হট্টগোল এমন চরমে উঠেছে, যে প্রায় দশ লাখের মতো লোক অনলাইনে আবেদন জানিয়েছে এই সিজনটা বাতিল করে আবার শুটিং করবার জন্য। বিতর্কের আকার দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে, দর্শক এই সিরিজের অন্য পরিণতির জন্য প্রয়োজনে বাজিও ধরতে পারে!

মানুষের অতৃপ্তিগুলো শোনা যাচ্ছে মূলত কয়েকটা বিষয়কে ঘিরেইঃ দুর্বল চিত্রনাট্য (দ্রুত সিরিজ শেষ করবার চাপ, গল্পের জটিল বয়ানটিকে অতিরিক্ত সরল করে ফেলা), চরিত্রদের দুর্বল মনস্তত্ত্ব (ডেনেরিসের মুহুর্তেই উন্মাদিনীর রুপ নেয়া তার চরিত্রের সাথে খাপ খায় না)- এরকম সব ব্যাপার।

বায়োস্কোপে ফেলুদা

লোকটার সাথে আমার পরিচয় আজ অনেক দিন হয়। সে-ই কবে চন্দনা মার্ডারের রহস্যে প্রদোষ মিত্র আর লালমোহন গাঙ্গুলি গিয়ে পড়লেন বারাসতের এক বাড়িতে, আর তোপসেকে সরিয়ে দিয়ে হরিপদবাবুর গাড়ির চতুর্থ যাত্রীটি হয়ে পড়লাম আমি।

শুরুটা তখন থেকে, শেষ আজও হলো না।

Powered by WordPress & Theme by Anders Norén

error: Content is protected !!