লেখালেখি

Category: অনুবাদ Page 1 of 3

‘কীভাবে পর্নোগ্রাফিক সিনেমা চিনবেন’: উমবার্তো ইকো

পর্নোগ্রাফিক সিনেমা কীভাবে চেনা যায়?

জানি, প্রশ্নটা শুনে ভুরু কুঁচকে ফেলবেন কেউ কেউ, তরুণেরা হেসেও উঠতে পারেন। আরে বাবা নানা রকম ওয়েবসাইটে দিনে-রাতে সমানে পর্নোগ্রাফি চলছে, একজনের ডাউনলোড করা ইরোটিকা কিংবা পর্নোগ্রাফি মুঠোফোন থেকে মুঠোফোনে ছড়িয়ে পড়ছে দিগ্বিদিক; এমন যুগে পর্নোগ্রাফিক সিনেমা চিনতে কারো মাথা ঘামাতে হবে কেন!

এনোক সোমেস স্মরণে

শেষ পর্যন্ত ডোডো পাখিটা বললো, ‘সবাই জিতেছে! সবাইকেই পুরস্কার দিতে হবে!’ 

আজব দেশে অ্যালিস

১৯৯৭ সালের ৩রা জুন, সাহিত্যপ্রেমী একদল ভদ্রলোক জড়ো হয়েছিলেন লন্ডনের ব্রিটিশ লাইব্রেরির পড়ার ঘরটায়, কবি এনোক সোমেসকে স্বাগত জানাতে। সেই মানুষটি যে দেখা দেননি, সেটাও সম্ভবতঃ অপ্রত্যাশিত ছিলো না।

ইশতেহারঃ আমার বিশ্বাস

আমি বিশ্বাস করি যে চিন্তাকে হত্যা করা যায় না, কারণ চিন্তারাজি অদৃশ্য আর ছোঁয়াচে, তারা সঞ্চারিত হয় দ্রুত।

আমার বিশ্বাস, তুমি নিজের অপছন্দের চিন্তার বিপরীতে চিন্তা দাঁড় করাতে পারো। আমি বিশ্বাস করি, যে তুমি বিনা বাধায় কোনো ধারণাকে নিয়ে আলাপ করতে, ব্যাখ্যা দিতে, বিতর্ক করতে, রাগ ঝাড়তে, ব্যঙ্গ করতে, গান গাইতে, নাটক বানাতে পারো। পারো, কোনো ধারণাকে আঘাত, অপমান এবং অস্বীকারও করতেও।

তিনটি অণু গল্প

পূর্বপরিচিত

ভাগ্যক্রমে দেখা হয়ে যাওয়ায় তারা আলিঙ্গন করলো একে অপরকে। ‘কতদিন দেখা হয়নি!’ বলে আক্ষেপ করলো দুজনেই। তারপর তারা খবর নিলো একে অন্যের, ফোন নাম্বার বিনিময় হলো, দেয়া হলো কফি খেতে দেখা হবার প্রতিশ্রুতিও।

বইয়ের দোকানে লোকে যা বলে

মানুষ যে বিচিত্র, সম্ভবত বাজারে গেলেই সেটা সবচেয়ে ভালো বোঝা যায়। আর বইয়ের দোকানও যেহেতু আদতে একরকম বাজারই, সেখানেও বিচিত্র সব মানুষের দেখা মেলে। তেমন বিচিত্র কিছু মানুষের আরো বিচিত্র কিছু কথা নিয়ে জেন ক্যাম্পবেলের সম্পাদনায় একটা ছোট, হালকা বই পড়লাম। উইয়ার্ড থিংস কাস্টোমারস সে ইন বুকশপস। ‘চশমাটা বাড়িতে ফেলে এসেছি, আমাকে একটু প্রথম অধ্যায়টা পড়ে দেবেন?’ থেকে শুরু করে ‘বই ধরলে কি বৈদ্যুতিক শক লাগে?’; এমন সব মজাদার প্রশ্নে যে দুনিয়া জোড়া বইবিক্রেতারা অনবরত নাজেহাল হচ্ছেন ক্রেতাদের কাছে, ছোটো এই বইটা সে ব্যাপারটাই স্পষ্ট করলো। আর আজকের আলাপে থাকলো আলোচ্য বইটা থেকে অনূদিত কয়েকটা ঘটনা।

প্রচ্ছদ নিয়ে কয়েক লাইন

  • সম্ভাব্য প্রচ্ছদ নিয়ে কোনো রকম স্বপ্ন দেখা ছাড়াই যদি কোনো ঔপন্যাসিক তার উপন্যাস শেষ করে ফেলতে পারেন; তবে তিনি নিঃসন্দেহে প্রজ্ঞাবান, পুরোদস্তুর পরিণত একজন মানুষ। কিন্তু যা তাকে একদিন লেখক করে তুলেছিলো, ভেতরের সেই ছেলেমানুষি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন।
  • যখন সবচেয়ে প্রিয় বইগুলোকে স্মরণ করি, তাদের প্রচ্ছদটাও তখন আমাদের মনে ভেসে ওঠে।
  • প্রচ্ছদ দেখে যদি আরো বেশি পাঠক বই কেনে, আমাদের সেটা ভালো লাগে। এবং সেই পাঠকদের কথা মাথায় রেখে যে বইগুলো লেখা হয়, সমালোচকেরা যদি সেগুলোকে ধুয়ে দেন; সেটাও আমাদের ভালো লাগে।
  • প্রচ্ছদে যদি নায়ককে ফুটিয়ে তোলা হয় খুঁটিনাটি সহ; লেখক নয় শুধু, পাঠকের কল্পনাকেও সেটা অপমান করে।

শিকারী

১৮৬০ এর ২৯ জানুয়ারি জন্মেছিলেন আন্তন চেকফ।
লোকটা এমন ভাবে লিখেছে, যেন সে কিছুই বলছে না।
এবং সে সবই বলেছে।

এদুয়ার্দো গ্যালিয়ানো

[টীকাঃ  আন্তন চেকফের গল্পে ইম্প্রেশনাজিম ঘরানার শিল্পীদের ছায়া দেখেছিলেন তলস্তয়, চেকফের গল্পকে বোঝাতে গেলে, এই কথাটা দারুণ মানানসই।

অপূর্ব সব গল্প লিখে গেছেন চেকফ। ছোটর মাঝেও ছোট যে গল্পগুলো, সেখানে তিনি মানুষকে ধরেছেন একটা মুহুর্তের মহিমায় তার গোটা জীবনকে টেনে এনে। আর গল্প যখন একটু বড় হয়েছে, রাশিয়ার নানা স্তরের আপাদমস্তক বৈশিষ্ট্যহীন মানুষগুলোই তার বয়ানে হয়ে উঠেছে চিরকালের মানুষ।

‘শিকারী’ গল্পটা জুলাই, ১৮৮৫ তে লেখা। অল্প কথায় বহু না-বলা-গল্প বলার চেকফীয় ক্ষমতা এখানে পুরোমাত্রায় প্রকাশিত।]

তপ্ত আর দমবন্ধ গুমোট দিন। আকাশে কোনো মেঘ নেই। রোদেপোড়া ঘাসগুলোকে মনে হচ্ছে নিরানন্দ, নিরাশ, বৃষ্টি হলেও তারা যেন আর কখনো সবুজ হবে না। অরণ্য দাঁড়িয়ে আছে নীরব, নিশ্চল, যেন গাছগুলো মাথা তুলে তাকিয়ে আছে কোথাও বা অপেক্ষা করছে কিছু একটার।

Page 1 of 3

Powered by WordPress & Theme by Anders Norén

error: Content is protected !!