লেখালেখি

Category: অনুবাদ Page 1 of 3

আদর্শ পাঠক আর আদর্শ পাঠাগার

 আদর্শ পাঠক নিয়ে কয়েক লাইন 

কাগজের বুকে শব্দ বসাবার ঠিক আগ মুহুর্তে লেখকই হলো আদর্শ পাঠক। সৃষ্টি মুহুর্তের ঠিক পূর্বক্ষণেই আদর্শ পাঠক বিরাজ করে।

আদর্শ পাঠক কোনো গল্পকে পুনরায় জোড়া লাগায় না, তারা গল্পটাকেই বানায় নতুন করে।

আদর্শ পাঠক গল্পকে অনুসরণ করে না, তারা গল্পের অংশ হয়ে ওঠে।

‘আপনি কীভাবে উপন্যাস লেখেন?’

এটা, নিঃসন্দেহে, ঔপন্যাসিকদের প্রতি মানুষের সবচেয়ে বেশিবার উচ্চারিত প্রশ্নগুলোর একটা। কে জিজ্ঞেস করছে, তার ওপর ভিত্তি করে আপনাকে সর্বদাই একটা সন্তোষজনক উত্তর দিতে হয়। এখানেই শেষ নয়, উত্তর দেয়ার সময় প্রতিবার সেখানে আনতে হয় কিছু বৈচিত্র্যও। শুধু আনন্দের জন্যে না, বরং- যেমনটা লোকে বলে- সত্য খুঁজে পাবার সম্ভাবনাটাকে বাঁচিয়ে রাখতেও। কারণ একটা ব্যাপার আমি নিশ্চিত জানি, যে কীভাবে উপন্যাস লেখা হয় প্রশ্নটা যারা করে, তারা নিজেরাও ঔপন্যাসিক। এবং আমরা প্রতিবারই নিজেকে একটা ভিন্ন উত্তর দেই।

‘কীভাবে পর্নোগ্রাফিক সিনেমা চিনবেন’: উমবার্তো ইকো

পর্নোগ্রাফিক সিনেমা কীভাবে চেনা যায়?

জানি, প্রশ্নটা শুনে ভুরু কুঁচকে ফেলবেন কেউ কেউ, তরুণেরা হেসেও উঠতে পারেন। আরে বাবা নানা রকম ওয়েবসাইটে দিনে-রাতে সমানে পর্নোগ্রাফি চলছে, একজনের ডাউনলোড করা ইরোটিকা কিংবা পর্নোগ্রাফি মুঠোফোন থেকে মুঠোফোনে ছড়িয়ে পড়ছে দিগ্বিদিক; এমন যুগে পর্নোগ্রাফিক সিনেমা চিনতে কারো মাথা ঘামাতে হবে কেন!

এনোক সোমেস স্মরণে

শেষ পর্যন্ত ডোডো পাখিটা বললো, ‘সবাই জিতেছে! সবাইকেই পুরস্কার দিতে হবে!’ 

আজব দেশে অ্যালিস

১৯৯৭ সালের ৩রা জুন, সাহিত্যপ্রেমী একদল ভদ্রলোক জড়ো হয়েছিলেন লন্ডনের ব্রিটিশ লাইব্রেরির পড়ার ঘরটায়, কবি এনোক সোমেসকে স্বাগত জানাতে। সেই মানুষটি যে দেখা দেননি, সেটাও সম্ভবতঃ অপ্রত্যাশিত ছিলো না।

ইশতেহারঃ আমার বিশ্বাস

আমি বিশ্বাস করি যে চিন্তাকে হত্যা করা যায় না, কারণ চিন্তারাজি অদৃশ্য আর ছোঁয়াচে, তারা সঞ্চারিত হয় দ্রুত।

আমার বিশ্বাস, তুমি নিজের অপছন্দের চিন্তার বিপরীতে চিন্তা দাঁড় করাতে পারো। আমি বিশ্বাস করি, যে তুমি বিনা বাধায় কোনো ধারণাকে নিয়ে আলাপ করতে, ব্যাখ্যা দিতে, বিতর্ক করতে, রাগ ঝাড়তে, ব্যঙ্গ করতে, গান গাইতে, নাটক বানাতে পারো। পারো, কোনো ধারণাকে আঘাত, অপমান এবং অস্বীকারও করতেও।

তিনটি অণু গল্প

পূর্বপরিচিত

ভাগ্যক্রমে দেখা হয়ে যাওয়ায় তারা আলিঙ্গন করলো একে অপরকে। ‘কতদিন দেখা হয়নি!’ বলে আক্ষেপ করলো দুজনেই। তারপর তারা খবর নিলো একে অন্যের, ফোন নাম্বার বিনিময় হলো, দেয়া হলো কফি খেতে দেখা হবার প্রতিশ্রুতিও।

বইয়ের দোকানে লোকে যা বলে

মানুষ যে বিচিত্র, সম্ভবত বাজারে গেলেই সেটা সবচেয়ে ভালো বোঝা যায়। আর বইয়ের দোকানও যেহেতু আদতে একরকম বাজারই, সেখানেও বিচিত্র সব মানুষের দেখা মেলে। তেমন বিচিত্র কিছু মানুষের আরো বিচিত্র কিছু কথা নিয়ে জেন ক্যাম্পবেলের সম্পাদনায় একটা ছোট, হালকা বই পড়লাম। উইয়ার্ড থিংস কাস্টোমারস সে ইন বুকশপস। ‘চশমাটা বাড়িতে ফেলে এসেছি, আমাকে একটু প্রথম অধ্যায়টা পড়ে দেবেন?’ থেকে শুরু করে ‘বই ধরলে কি বৈদ্যুতিক শক লাগে?’; এমন সব মজাদার প্রশ্নে যে দুনিয়া জোড়া বইবিক্রেতারা অনবরত নাজেহাল হচ্ছেন ক্রেতাদের কাছে, ছোটো এই বইটা সে ব্যাপারটাই স্পষ্ট করলো। আর আজকের আলাপে থাকলো আলোচ্য বইটা থেকে অনূদিত কয়েকটা ঘটনা।

Page 1 of 3

Powered by WordPress & Theme by Anders Norén

error: Content is protected !!