মঈনুস সুলতানের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিলো ‘কাবুলের ক্যারাভান সরাই’ নামের ভ্রমণ সংকলনের হাত ধরে। দৈনিক প্রথম আলো’তে সুলতানের যে ভ্রমণ গল্পগুলো পর্বের পর পর্ব ধারাবাহিক আকারে বেরিয়েছিলো প্রায় এক দশক আগে, ‘কাবুলের ক্যারাভান সরাই’ ছিলো তারই সংকলিত রুপ। পত্রিকার পাতায় অতটা নিয়মিত পড়া হয়নি সুলতানকে, স্বীকার করি; কিন্তু যখন তাকে পড়া হয় মলাটবদ্ধ বইয়ের পাতায়, অনুরাগী হয়ে যেতে তার সময় লাগে না। উর্দু-ফারসি-আরবীর আধিক্যের সাথে বহু অবাঙাল শব্দ যুতসই ভাবে ব্যবহার করে সুলতান কী করে প্রায়ই বাংলা ভ্রমণগদ্যের আরেক চূড়ামণি সৈয়দ মুজতবা আলীকে স্মরণ করান; সে প্রসঙ্গেও নিয়মিতই অনেকের সাথে আলাপ করেছি। মঈনুস সুলতানকে তাই সময় পেলেই অনুসরণ করেছি আমি; নিকারাগুয়ায়, জিম্বাবুয়েতে, অথবা কান্দাহারে।

সুলতানের যে একজোড়া ভ্রমণ বৃত্তান্ত নিয়ে আজকের এই লেখা, তার প্রথমটির নাম ‘জোহানেসবার্গের জার্নাল’। পাঠক এখানে দক্ষিণ আফ্রিকার পথেঘাটে সুলতানের ঘুরে বেড়ানোর কয়েকটা দিনের বিবরণ পায়।

২০০৫ সালের গ্রীষ্মে, নেলসন ম্যান্ডেলা তখনো জীবিত, কৌতূহলজনক এক ভুক্তি দিয়ে শুরু হয় সুলতানের জার্নাল। স্ত্রী আর কন্যার সাথে মিলতে জোহানেসবার্গে পা রেখেই তাকে আশ্রয় নিতে হয়েছে এক সরাইখানায়। ক্যানো? কারণ তার স্ত্রী যে বাড়িটি ভাড়া করে রেখেছিলেন থাকার জন্য, সেটার দরজা ভেঙে কারা যেন ভেতরের সমস্ত দামী সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, স্ত্রী’র চিঠিতে (ভদ্রমহিলা আপাতত পাশের দেশ জিম্বাবুয়েতে গেছেন পেশাগত কারণে) সুলতান আরও জানতে পারেন, গলায় ক্রুশ ঝোলানো এক সাধুপুরুষ কী করে বাইবেলের ভেতর থেকে পিস্তল বের করে ভদ্রমহিলার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ল্যাপটপ আর মোবাইল! শুরুটা এভাবেই, তারপর সুলতানের পুরো জার্নাল জুড়ে বারবার এসেছে আইনী পরিস্থিতির এমন করুণ দশার বর্ণনা।

সুলতানের ভ্রমণগদ্যে আমরা প্রায়ই নানা বিচিত্র মানুষের বর্ণনা পাই, রঙবেরঙের ওসব চরিত্রের হাত ধরে আমরা দেখতে থাকি সেই অঞ্চলটিকে। জোহানেসবার্গেও একই ব্যাপার ঘটে। সুলতান আমাদের একে একে পরিচয় করান তার গেস্ট হাউসের ফোরম্যান ভ্যান হেন্ডরিকের সাথে, তার দশাসই বপুর স্ত্রী মামা কনানানি’র সাথে। তাদের সাথে বেরিয়ে পড়ে সুলতান কখনো দ্যাখেন রোজ মার্কেটের ছাদের কারুপণ্যের বিপণিবিতান, কখনো একাই দেখতে যান হিলব্রাউ টাওয়ার।

কিন্তু সুলতানের চোখ দিয়ে আমাদের মনের পটে বেশ ভীতিপ্রদ হয়ে ওঠে জোহানেসবার্গের পথঘাট। কোথাও পানীয় বিক্রেতা রীতিমতো হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে লোকটার থেকে, কোথাও দেখা যায় সন্ধ্যা নামলেই ধূপখোলা মাঠের অন্ধকার কোণ ছাড়াই দিনের আলোতে মাদক সেবন করছে যুবকেরা, কোথাও সুলতান দেখেন সন্তানসহ পিতাকে বাড়িওয়ালা রাস্তায় বের করে দিয়েছে, কারণ ভদ্রলোকের স্ত্রী মারা গেছেন এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে।

শহরের এই বেহাল দশার একটা ব্যাখ্যা সুলতানের সাথে সাথে পাঠক জানতে পায় তরতেলিনো রেস্তোরাঁর শ্বেতাঙ্গ মালিকের কাছ থেকে। সেটা কী? নাহ, বর্ণবাদের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে দক্ষিণ আফ্রিকা যে আইন করেছে ক্রমাগত গুরুত্বপূর্ণ পদে সংখ্যাবৃদ্ধি করা হবে কালোদের, সেটার হাত ধরে কালোরা যেন অনেকদিনের অবিচার পুষিয়ে নিতে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করছে এখন। নানাভাবে তারা চাঁদা চায় সাদা ব্যবসায়ীদের কাছে, পর্যটকদের ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়, অন্ধকার রাস্তায় ধর্ষণ পর্যন্ত করে নবাগতদের। অথচ পুলিশের কাছে গেলে পুরো ব্যাপারটাই হয়ে ওঠে বর্ণবাদের রাজনীতি।

এইটুকু পড়েই অরণ্যে ঘেরা দক্ষিণ আফ্রিকার আরো একটা রুপ যেন পাঠকের সামনে উন্মোচিত হয়। আমরা বিমর্ষ হই। সেই বিমর্ষতা আরো বাড়ে যখন দেখি ব্রি স্ট্রিটের আশপাশের মেয়েদের জুতোর দোকান মালকিনরা রীতিমতো দলবদ্ধ হয়ে চড়াও হয় জুতা কেনার জোরালো অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা সুলতানের ওপর, হয়তো আমাদের তখন মনে পড়ে জিপিও বা মৌচাকের সিন্ডিকেট দোকানীদের কবলে কী দশা হয় খদ্দেরদের। শিউরে উঠি, যখন দেখি টাকাপয়সা না নিয়ে রাস্তায় বেরোনো সুলতানকে পিটিয়ে তাকে ছুরিকাহত করে চলে যায় সুবেশি ছিনতাইকারী; ভয় হয়, ওই ছুরির খোঁচায় এইচআইভি আক্রান্ত কোনো রোগীর জীবাণু না সংক্রমিত হয় লেখকের মাঝেও!

সংবেদনশীল মনের জার্নালে সুলতান জানিয়েছেন নিজের দ্বিধার কথা। মানে, অপরাধপ্রবণতার জন্য কেবল কালোদের না দুষে তিনি করতে চেয়েছেন শ্বেতাঙ্গদের না-হক ক্ষমতাদখল কীভাবে কালোদের এ পথে ঠেলে দিয়েছে, সেই অনুসন্ধান। অথচ পাঠকের মন তেমন সহানুভূতিশীল হতে পারে না, যখন সে জানতে পারে লিঙ্গার লঙ্গার রেস্তোরাঁর রুপালি মিনিস্কার্টের সেই লাস্যময়ী ওয়েইট্রেস কৃষ্ণাঙ্গ সুন্দরী নানদিপার কী হলো, আর লেখকপত্নীর বন্ধু শ্বেতাঙ্গ নারী ইহোনিকার প্রেমিক আদোনিসের করুণতর পরিণতি। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের অগণিত বুলেট খেয়েও  যে দেশের নির্যাতিত কালো মানুষ আদায় করেছে অধিকার (সুলতান জানাচ্ছেন, শুধু সোয়েটো স্কুলেই পুলিশের গুলিতে তাৎক্ষণিক ভাবে নিহত হয়েছিলো ১৭৬ জন); তারা কী করে একবিংশ শতাব্দীতে এমন হয়ে উঠলো, সে উত্তর আর মিলতে চায় না তখন।

তবে কি ক্ষমতার স্বাদ হাতে পেলে সত্যিই বদলে যায় মানুষ?

সে ভাবনায় নিজেকে বেশি বিচলিত আর করা হয় না। কারণ দ্রুতই হাতে পেয়ে যাই সুলতানের আরো একটি ভ্রমণ সংক্রান্ত সংকলন, যার নাম ‘সান্তা ফে’র আর্ট ডিস্ট্রিক্ট ও মুনলাইট ক্যাম্পফায়ার’, এবং কাকতালীয়ভাবে, এই বইটি যেন ঠিক আগের সংকলনের সিক্যুয়েলের মতো।

জোহানেসবার্গে ঘোরাঘুরির একযুগ পরে সুলতান তখন ফিরে এসছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, নতুন কোন চাকরিতে থিতু হতে চাইছেন তিনি। তার আবাস এবার সান্তা ফে নগরী, যেখানে জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ আদিবাসী আমেরিকান এবং মেক্সিকান। তার বাইরে পর্যটকদের আকর্ষণ করবার জন্য এ শহরে কী আছে? আছে নানা চিত্রগ্যলারিতে ভরপুর একটি আর্ট ডিস্ট্রিক্ট। সুলতান, এই সংকলনে আমাদের গল্প শোনান সেই আর্ট ডিস্ট্রিক্টের নানা বিচিত্র মানুষের।

শিল্প সংক্রান্ত মানুষের মাঝে ঘোরাফেরার বয়ান বলেই হয়তো, জোহানেসবার্গের গল্পের চেয়ে একটু ভিন্ন শোনায় সান্তা ফে’র পর্যটক সুলতানের কন্ঠ। রাজনীতির দলাদলিকে প্রায় অনুপস্থিত রেখে আমরা তাই শুধু ব্যক্তিগতই গল্পই শুনে যাই এই সংকলনে।

আমরা গল্প শুনি রোজ্যান নিউমি’র,  দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে অবস্থানকালে যার সাথে পরিচয় হয়েছিলো সুলতানের। সেই রোজ্যান নিউমি বা রোজ, যার বিচ্ছেদ হয়েছে স্বামী ক্যারির সাথে। সেই ক্যারি, যে ছিলো সুলতানের বেশ পছন্দের মানুষ, মাথা গরম, পাবে মারামারি করে অভ্যস্ত, এবং এখন যে আরেকজনের স্ত্রী নিয়ে ভেগে গেছে সোমালিয়ায়। অথচ এখানেই রোজের দুঃখের শেষ নয়, আমরা শুনি যে রোজের মা মারা গেছিলেন ক্যান্সারে, দ্বিতীয় স্ত্রী ভেগে যাবার পরে রোজের বাবা আত্মহত্যা করেন তার প্রথমা স্ত্রী’র কবরে গিয়ে। এবং বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পক্ষের যে একজোড়া যমজ সৎবোন, যাদের রোজ বড় করেছিলো পেলে-পুষে, তারাও ক্যান্সারে মারা যায় একই সপ্তাহে। আমরা যখন আরো জানতে পাই যে রোজের দত্তক নেয়া মেয়ে অ্যানি, জাতে কোরিয়ান যে মেয়েটি ভুগছে মানসিক সমস্যায়; তখন এই ভ্রমণ কাহিনির চিরঅনুষঙ্গ হয়ে থাকা উন্মুক্ত প্রান্তরের জুনিপার বৃক্ষের ঝোপ আর সমস্ত বোহেমিয়ান শিল্পীরা মুছে যায় আমাদের মন থেকে। আমাদের কেবল দুঃখবোধ হয় রোজের জন্য; এক জীবনে কতবার আর আঘাত সইতে হবে তাকে?

আমরা গল্প শুনি চিত্রকর ম্যারিয়েনের, লিঙ্গান্তর ঘটিয়ে ড্যানিয়েল নামের পুরুষ থেকে যে এখন হয়ে উঠেছে নারী। আমরা গল্প শুনি মিসেস ওয়াকটারের, যিনি একটি ছবি কেনার ছুতোয় সপ্তাহে দু’দিন এসে বসে থাকেন আর্ট গ্যালারিতে, কারণ ক্রমশ অন্ধত্বের দিকে যাওয়া এই একাকী বৃদ্ধার কোথাও যাবার নেই জীবনে। আমরা পরিচিত হই হিজাব পরিহিত রাচেলের সাথে, যে মেয়েটি এখন বড্ড উদ্বিগ্ন, কারণ তার প্রেমিক গুস্তাভোকে অবৈধ অভিবাসী বলে এল সালভাদরে ফেরত পাঠাতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। আমরা কিচ্ছা শুনি আয়নূরের, সেই পাকিস্তানি মেয়েটি যে আঘাতের দাগ ঢাকতে শরীরে এঁকেছে উল্কি, যাকে কৈশোরেই বিয়ে দেয়া হয়েছিলো এক বুড়োর সাথে এবং অনলাইনের পরিচয় থেকে যে তার মার্কিনি প্রেমিকের সাথে পালিয়ে আসে সান্তা ফে’তে। আমরা শুনতে পাই সিনিওরা মারিয়া পুত্র হেক্টরের, বা জোসেফিনের কন্যা আলেহান্দ্রার কথা; আফিমের নেশায় যাদের মৃত্যু ঘটেছে ওভারডোজে। 

এভাবেই ব্যক্তি মানুষদের নিজস্ব গল্প শোনানোর ফাঁকে ফাঁকে শোনাতে সুলতান একদিন আমাদের নিয়ে যান নামজাদা মার্কিন চিত্রকর জর্জিয়া ও’কিফের বাড়িতে। জর্জিয়া ও’কিফের ঘটনা ও কর্মবহুল একটি জীবনের সারাংশ পাঠক পায় সেই অধ্যায়টায়। সাথে থাকেন সুলতানের সফরসঙ্গী মিস রুবারটা। 

সেই মিস রুবারটা, যিনি একদা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান কূটনৈতিক (কিন্তু চাকরি হারিয়েছেন অন্য বহু সাদা মানুষের মতোই) আর পরবর্তীতে চিত্রকলার পেছনে ছুটে অতিবাহিত করেছেন নিজের যৌবন, যিনি এখনো নিজ বাড়িতে মজমা বসান পিকাসো কি অমৃত শেরগিলের আঁকা ছবি নিয়ে। যখন জানা যায় যে চাঁদা না দেয়ায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবকেরা এই নির্বিরোধী মহিলাটির প্রিটোরিয়ার বাড়িতে ঢুকে ছুরি দিয়ে কেটে দিয়ে গেছে দেয়ালে ঝোলানো তার সংগ্রহশালার বহু চিত্রকর্ম, তখন পাঠকের পুনরায় স্মরণ হয় সুলতানের জোহানেসবার্গের জার্নালের কথা।  

তখন আমাদের মনে হয়, যে অনেক ব্যক্তি মানুষ বুকের ভেতর গোপন ক্ষত নিয়ে উপশম খোঁজে শিল্পের কাছে। সান্তা ফে’র আর্ট ডিস্ট্রিক্ট, কি চন্দ্রালোকে ক্যাম্পফায়ারে এসে তারা খোঁজে শান্তি। কিন্তু ব্যক্তি মানুষের ওই বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা কিছুতেই পাত্তা পায় না এই বুড়ো পৃথিবীর রাজনীতির কাছে। আর রাজনীতি এমনই এক খেলা যে দক্ষিণ আফ্রিকা যদি আগুনে পোড়ে তো সেটার উত্তাপ এসে যায় যুক্তরাষ্ট্রেও, আর যুক্তরাষ্ট্রে কিছু হলে সেটা পালটে দেয় এল সালভাদরের মানুষের জীবন।  

হলুদ টি-শার্টের সেই হকার যতই ভালোবেসে সুলতানকে উপহার দিক দক্ষিণ আফ্রিকার পতাকা, যখন জুলু গুণ্ডাদের ভয়ে দেশত্যাগ করতে হয় ইহোনিকাকে আর ভিনদেশে বসে মিস রুবারটা স্মরণ করেন প্রিটোরিয়ায় নিজ বাপ-দাদার ভিটা; আমাদের তখন মনে হয় পৃথিবীতেও সাম্য আর শান্তি এখনো বহু দূরে। জোহানেসবার্গ বলো, কিংবা সান্তা ফে’, বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টিলেজেন্সের দুর্ধর্ষ দুঃসাহসী নারীলিপ্সু স্পাই মাসুদ রানাকে নিয়ে মাঠে নামলেও শান্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না।

[অক্টোবর, ২০২০]

প্রিয় পাঠক,
কয়েক বছর ধরে একক শ্রমে গড়ে তোলা এই ওয়েবসাইটকে আমি চেষ্টা করেছি অগণিত বাংলাভাষী ওয়েবপোর্টালের মাঝে স্বতন্ত্র করে তুলতে। নানা স্বাদের এসব লেখা নির্মাণে আমাকে বিনিয়োগ করতে হয়েছে যথেষ্ট সময় আর শ্রম। এছাড়াও, পাঠক, আপনি এসব লেখা পড়তে পারছেন কোনো ধরনের বিজ্ঞাপণের উৎপাত ছাড়াই।

কাজেই প্রিয় পাঠক, স্বেচ্ছাশ্রমের এই ওয়েবসাইট চালু রাখতে প্রয়োজন হচ্ছে আপনার প্রণোদনার। আমরা চাইঃ এই সাইটের কোনো লেখা যদি আনন্দ দেয় আপনাকে, কিংবা আপনার উপকারে আসে- সেক্ষেত্রে ০১৭১৭ ৯৫৩০৮৭ (Personal) নাম্বারে বিকাশ (bKash) করে আপনি প্রণোদনা দিয়ে আমাদের উৎসাহিত করবেন।

আপনার সামান্য উৎসাহ বাংলাভাষী অন্তর্জালকে করে তুলতে পারে আরও আকর্ষণীয় লেখায় সমৃদ্ধ!