১৬৯২ সালের আমেরিকা; সালেম, ম্যাসাচুসেটস। ছোটো একটা শহর, চারিদিকে জঙ্গল ঘেরা। সেই জঙ্গলের মাঝেই একদল কিশোরী মেয়ে নেচে নেচে খেলছিলো একদিন, সাথে ছিলো এক কৃষ্ণাঙ্গ দাসী, তিতুবা। কোনো এক শহরবাসীর চোখে পড়ে যায় এই অতি-সাধারণ দৃশ্যটি। আর তারপর, মানুষের কূটবুদ্ধি আর রাজনীতির প্যাঁচে পড়ে এই তুচ্ছ ব্যাপারটাই হয়ে দাঁড়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর একটা; যা কুখ্যাত হয়ে আছে ‘ডাইনি শিকার’ (Witch Hunting) নামে।

কী ঘটেছিলো ১৬৯২ এর সালেমে?

সংক্ষেপে বললে, বয়সের চপল আনন্দ নিয়ে জঙ্গলে নাচানাচি করা ওই মেয়েদের- দাসী তিতুবা সহ- অভিযুক্ত করা হয় ডাকিনীবিদ্যা চর্চার জন্য। কিশোরী ও সদ্য তরুণী মেয়েগুলো তখন অনুমিতভাবেই প্রাণ বাঁচাতে শুরু করে মিথ্যা বলা। এবং অন্যদের প্ররোচনায় তারা শহরের আরও কিছু মানুষকে অভিযুক্ত করে শয়তান পূজার দায়ে। সেই সুতো ধরেই প্রহসনের বিচারে প্রাণ হারায় প্রায় ২০ জন মানুষ। দলিল দস্তাবেজে ঘটনাগুলো এভাবেই বর্ণিত।

কাকতালীয় ব্যাপার বলতে হবে, সম্প্রতি পড়া দুটো বইতে ঐতিহাসিক ওই ‘ডাইনি শিকার’ জনিত কাহিনিটি পেলাম প্রেক্ষাপট হিসেবে। প্রথম বইটা ছিলো আর্থার মিলারের মঞ্চনাটক ‘দা ক্রুসিবল‘, দ্বিতীয়টি মেরিস কন্ডের উপন্যাস ‘আই, তিতুবা, ব্ল্যাক উইচ অফ সালেম’। পড়তে গিয়ে খেয়াল করি, যে মিলার বা মেরিস কন্ডে, প্রত্যেকেই ঐতিহাসিক ঘটনাটিকে ব্যাখ্যা করেছেন নিজ মাটির, নিজ ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে। ডাইনি শিকারের ঘটনাটি, মার্কিন নাট্যকার মিলারের কাছে হয়ে উঠেছে সমকালের একটি রাজনৈতিক নিপীড়নের প্রতীক; আর ক্যারিবিয়ানের লেখিকা মেরিস কন্ডে ঘটনাটাকে দারুণভাবে ব্যবহার করেছেন কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের প্রতি বহুকাল ধরে চলে আসা শ্বেতাঙ্গ ও পুরুষ নিয়ন্ত্রিত বৈষম্যের একটি উদাহরণ হিসেবে।

সংক্ষিপ্ত এই আলাপে, আমরা দেখবো, নিজের বক্তব্যটা শিল্পিত করে তুলবার স্বার্থে মিলার বা কন্ডে কীভাবে ভিন ভিন্ন করে উপস্থাপন করেছেন ঘটনাটিকে। দেখবো, একই ঘটনা দিয়ে শিল্পীরা কতরকম কথা বলতে পারেন কেবল বয়ান আর স্বরের পার্থক্য তৈরি করে।

প্রথমে মনোযোগ দেই মিলারের নাটকটার দিকে। ‘দা ক্রুসিবল’ শব্দের আভিধানিক অর্থ যদিও অতি তপ্ত পাত্র, ব্যবহারিক অর্থে শব্দটা মূলত ‘অগ্নিপরীক্ষা’ অর্থেই ব্যবহৃত। যে তুমুল মানসিক দ্বন্দ্ব আর সিদ্ধান্তহীনতার মাঝে মিলার তার নাটকের চরিত্রদের স্থাপন করেছেন, সেই বিচারে নামটা দারুণ সার্থক।

মিলারের চার অংকের নাটকটার শুরুতেই দেখা যায় যাজক স্যামুয়েল প্যারিসের মেয়ে বেটি অসুস্থ, লোকে বলছে জঙ্গলে নাচার সময় মেয়েটির ওপর শয়তান ভর করেছে। প্যারিসের ভাস্তি অ্যাবিগেইলও বেটির সঙ্গী ছিলো জঙ্গলের ওই নাচে, সাথে ছিলো তাদের কালো দাসী তিতুবাও। তিতুবার নাকি উদ্দেশ্য ছিলো কোনো ধরনের তুকতাক, তাই সে জঙ্গলে গিয়েছিলো ভেষজ কী একটা গাছের সন্ধানে। এদের তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এসেছে শয়তান উপাসনার। তবে স্থানীয় কান-ভাঙানিরা মেয়েগুলোকে কুবুদ্ধি দেয়, যে শয়তানের উপাসনা তারা কোত্থেকে শিখেছে, সেই বড় নামগুলো বলে দিক এই অভিযুক্তরা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাক। শাস্তি হ্রাস পাবার আশায় মেয়েগুলো তখন সত্যিই শয়তানকে দেখতে পাচ্ছে, এমন অভিনয় শুরু করে। সেখানেই না থেমে, কান-ভাঙানিদের কথায় তারা আঙুল তোলা শুরু করে শহরের একের পর এক লোকের দিকে।

নাটকের চরিত্রদের মাঝে দারুণ জটিল সব সম্পর্ক তৈরি করেন মিলার। ঈর্ষাকাতর জমিদার প্যাটনামের কথা ধরা যাক, ভালো মানুষ ফ্রাসোয়া নার্সের বিরুদ্ধে লোকটা ক্ষেপে আছে রাজনৈতিক কারণে, ফলে প্যাটনামের উসকানিতে নার্স এবং তার ভালো মানুষ স্ত্রী’ও চলে আসে কাঠগড়ায়। নাটকে আছে ধার্মিক মানুষ জন প্রক্টরও, লোকটা ভালো, কিন্তু পা ফসকে কিছুদিনের জন্য সে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়েছিলো প্রায় তরুণী অ্যাবিগেইলের সাথে; মেয়েটি এবার প্রতিশোধ নেয় জনের স্ত্রী এলিজাবেথকে শয়তান উপাসক বলে অভিযুক্ত করে। এভাবেই ধীরে ধীরে প্রহসনের বিচারের ছায়া ছড়িয়ে পড়তে থাকে সালেমবাসীর ওপর, সকলেরই দিন কাটে দুর্ভাবনায়, মাথার ওপর তাদের সার্বক্ষণিক ঝুলতে থাকে গিলোটিন।

আলাপের এই পর্যায়ে এসে আমাদের একটু ফেরা দরকার ‘দা ক্রুসিবল’ রচনায় সময়কালের দিকে, সেই ১৯৫৩ সালে। সিনেটর জোসেফ ম্যাকার্থির কাছ থেকে শুরু হওয়া সর্বত্র কম্যুনিজমের ভূত দেখার সেই রোগ ততদিনে হয়ে গেছে মহামারি (ম্যাকার্থিজম), আমেরিকা এখন সকল প্রকার বিরুদ্ধমত আর প্রগতিশীলতার গায়ে আটকে দিচ্ছে সোভিয়েতের দালালের স্টিকার। গায়ক, অভিনেতা, লেখক- সবাইকেই তখন পরীক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে হচ্ছে, যে তারা কম্যুনিস্ট নয়। কালো তালিকা ভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচতে সরকারি জেরার মুখে অনেকেই তখন অন্য কারো নাম বলে দিচ্ছেন। সেই দলে আছেন আর্থার মিলারের কাছের মানুষ, খ্যাতনামা পরিচালক এলিয়া কাযান পর্যন্ত।

তো এই যে নিজেকে বাঁচাতে অন্য কারো নাম বলে দেওয়া, এই কাপুরুষের মতো ব্যাপারটাই মিলারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল ১৬৯২ এর সালেমের দিকে। জনতার উন্মাদনার সাথে যদি যোগ হয় ক্ষমতা-কাঠামোয় বসে থাকা মোটাবুদ্ধির মানুষদের মতিভ্রম, কী নৃশংস ব্যাপার তখন ঘটে পারে, এই নাটকে সেটাই দেখাতে চেয়েছেন মিলার। ব্যক্তির ক্ষুদ্রতাকে নাট্যকার খোঁচা মেরেছেন ঠিকই, কিন্তু তাদের জন্য বেদনাও তাকে আক্রান্ত করেছে। নাটকের শেষ অংকে কোরি জাইলস নামের চরিত্রকে তাই দেখা যায় অন্য কারো নাম বলতে অস্বীকার করে জনতার ছুঁড়ে দেওয়া পাথরের আঘাত পেতে পেতেও বলে, ‘আরো দাও! আরো ভার দাও আমাকে!

উদ্দিষ্ট নাটকে একটা বিষয় লক্ষণীয়, নিজদের কৃতকর্মকে কখনোই এখানে মিথ্যা বলে দাবি করেনি অভিযুক্তরা। নাট্যকারের বক্তব্যের ধাঁচটা ছিলো, ব্যক্তি তার নিজস্ব স্বাধীনতার ভেতরে থেকে যে কোনো কিছুর (মানে, কম্যুনিজমও) চর্চা করতেই পারে, সমস্যা শুরু হয় যখন অন্য দশজন সেটাকে কোনো একটা অবশ্য-পালনীয় মানদন্ডে ধরে বিচার আরম্ভ করে। তাই, মেয়েরা যে জঙ্গলে নাচেনি, কিংবা ভেষজ গাছ দিয়ে তিতুবা যে কোনোরকম তুকতাক করেনি; তেমন কোনো সত্য প্রতিষ্ঠার দিকে যাননি নাট্যকার।

আগ্রহোদ্দীপক ব্যাপার, মেরিস কন্ডে তার ‘আই, তিতুবা, ব্ল্যাক উইচ অফ সালেম’ উপন্যাসেও তিতুবার ওপরে চাপানো সেই ঐতিহাসিক ‘অপরাধ’-এর দায় অস্বীকার করেননি। বরং তার সুরটা ছিলো, মার্কিনি সাদা চামড়ার কাছে যা অপরাধ, ক্যারিবিয়ানের কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের কাছে তা সংস্কৃতি।

খেয়াল রাখা দরকার, মেরিস কন্ডে নিজে ক্যারিবিয়ানের মানুষ। তার লেখা যে কালোদের, ক্যারিবিয়ানের লোকেদের, সর্বোপরি নারীদের কথা বলে; সেই নিয়ে কন্ডে নিজেই দারুণ উচ্চকণ্ঠ। উদ্দিষ্ট উপন্যাসটিও তেমন সাক্ষ্য দেয়। সত্যি বলতে, আর্থার মিলারের পুরো নাটকটাই যেমন ডাইনি-শিকারকে কেন্দ্র করে, কন্ডের উপন্যাস কিন্তু তা নয়। সেটা বরং চিত্রিত করেছে ক্যারিবিয়ানের দাস বংশে জন্ম নেওয়া নারী তিতুবার গোটা জীবন। উল্লেখ্য, ১৬৯২ এর ওই ঘটনা সংক্রান্ত দলিলপত্রে কেবল এটুকুই উল্লেখ করা, যে ক্যারিবিয়ানের কোনো অঞ্চল থেকে তিতুবা সালেম অঞ্চলে এসেছিলো পাদ্রী স্যামুয়েল প্যারিসের দাসী হিসেবে। ঐতিহাসিক এই সত্যটুকুর ওপর ভিত্তি করে মেরিস কন্ডে সাজিয়েছেন তার উপন্যাসের যাত্রাপত্র। সেখানে সালেমের ঘটনা যেমন আছে; তেমন আছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সাদাদের দাস ব্যবসা, নির্যাতন, এমনকি দাস বিদ্রোহের বর্ণনা। তবে বর্তমান আলাপে আমরা সীমাবদ্ধ থাকবো দাসী তিতুবার জীবনের কেবল ম্যাসাচুসেটস পর্বটাতে।

জীবনের নানা দুর্ঘটনা পেরিয়ে ধর্ষিত দাসীর মেয়ে তিতুবা একসময় সালেম পৌছে স্যামুয়েল প্যারিসের হাত ধরে। উপন্যাসে আমরা দেখি, সমুদ্রযাত্রায় তিতুবা কঠিন এক রোগ থেকে বাঁচায় পাদ্রীর স্ত্রী’কে। পাদ্রীর মেয়ে বেটসির সাথে এক ধরনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয় তিতুবার, কিন্তু পাদ্রীর ভাস্তি অ্যাবিগেইলের সাথে সে সহজ হতে পারে না। আর সালেমবাসীও শুরু থেকেই বিরুপ তিতুবার প্রতি। কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েটির চালচলন, ভেষজ ওষুধ দিয়ে রোগ সারানো, এমনকি ফেলে আসা ক্যারিবিয়ান নিয়েও তার বিভিন্ন গল্প থেকেও স্থানীয়রা তাকে ডাকিনীবিদ্যার পূজারী বলে ডাকে। ফলে একদিন যখন বেটসি আর অ্যাবিগেইল- মেয়ে দুটো অসুস্থ হয়, বা হবার ভান করে, তখন তিতুবাকেই শয়তানের পূজার জন্য অভিযুক্ত করতে কারো একটুও আটকায় না। আর পরের কাহিনি তো আমাদের ইতোমধ্যে জানা।

তবে কন্ডে অবশ্য ঐতিহাসিক দলিলে উল্লেখ থাকা সেই প্যাটনাম, জন প্রক্টর বা কোরি জাইলস নামগুলোর মাঝে কোনো আন্তঃসম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেননি। আর্থার মিলারের মতো বিচারের বর্ণনা না দিয়ে তিনি কাহিনি বর্ণনা করেন তিতুবার কারাবাসের অংশটা থেকে। মজার ব্যাপার, এই কারাগারেই ঔপন্যাসিক আমাদের তিতুবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন হেস্টার প্রিনের, নাথানিয়েল হথর্নের ধ্রুপদী উপন্যাস ‘দা স্কারলেট লেটার’ -এর সেই নায়িকা! হেস্টারকে আমরা চিনি, ব্যাভিচারের অপরাধে সে আটক হয়েছে, অথচ তার ভালোবাসার পুরুষটি একই অপরাধ করেও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে; সমাজের বিচার বটে!

ওই হেস্টারের পরামর্শেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলে তিতুবা, বলেঃ হ্যাঁ, শয়তানের উপাসনা করেছি আমি। পরবর্তীতে ওই বিচারকে কেন্দ্র করে শহরে যখন ছড়িয়ে যায় নৃশংসতা, প্রহসনের বিচারে ফাঁসি আর তার প্রতিশোধ গ্রহণ, তিতুবা তখন জেলেই থাকে। একসময় সে মুক্তি পায় কারাগার থেকে, তার জীবনকে ঔপন্যাসিক মেরিস কন্ডে তখন বইয়ে দেন অন্যখাতে, সে আলাপ অন্য কোনোদিন। আমরা কেবল এটুকুই খেয়াল রাখবো, যে বিচারের পর তিতুবার গায়ে সেঁটে গেছে অপরিমোচনীয় এক নামঃ সালেমের কালো ডাইনি।

মেরিস কন্ডের বলার স্বরটা এমন, যে বর্ণ বা লিঙ্গের বৈষম্যের চেয়েও কিছুতেই পিছিয়ে রাখা যায় না ক্যারিবিয়ানের মানুষের প্রতি (এখানে তিতুবা যার প্রতীক) দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সাংস্কৃতিক বৈষম্যকে। ক্যারিবিয়ানের মানুষ গান গায়, ভেজষ ওষুধ বানায়, রোগ সারায় বনের গাছ দিয়ে; এরজন্যেই তারা কি কালো যাদুকর বা ডাইনি? তিতুবা এই আরোপিত ডাক মানতে অস্বীকার করে। সাদা মানুষ যে একটা জাতিগত বৈশিষ্ট্য আরোপ করে কালোদের হীনমন্য করে তুলতে চায়, কন্ডে সেটার একটা নীরব প্রতিবাদ করেন তিতুবাকে দিয়ে ‘ডাইনি’ ডাক ঘাড়ে পেতে নিয়ে। আর্থার মিলারের বয়ান যদি হয় উন্মাদনায়-ফুঁসতে-থাকা-জনতার-আদালত এর সমালোচনা; কন্ডের সমালোচনা তবে সেইসব দখলদারদের প্রতি, যারা অতীতে ধ্বংস করতে চেয়েছে অন্য জাতিসত্ত্বার প্রথা আর সংস্কৃতি।

উদ্দিষ্ট নাটক আর উপন্যাস দু’টি শেষ করবার পরে অন্তর্জালে খানিক ঘুরে আসি আমি। জানতে চাই, বাস্তবে কী হয়েছিলো তিতুবা নামের সেই মেয়েটির? তেমন সন্তোষজনক কোনো জবাব নেই প্রশ্নটার। ১৬৯৩ সালে জেলমুক্তির পর কোনো খবর পাওয়া যায় না তিতুবার।

আদালতের রেকর্ড অনুসারে বিচারের কাঠগড়ায় মেয়েটির শেষ কথা ছিলো এমনঃ ‘… শয়তান ভর করেছে আমার ওপর, আমি এখন অন্ধ! আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না!’

আজ ভেবে দেখি, ইতিহাসের প্রতি- মানুষের প্রতি তিতুবার এক ধরনের চরম কৌতুকই ছিলো কথাটা। আপাত স্থূল যে সব প্রমাণ নিয়ে অনলাইনে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি অদেখা মানুষের চরিত্র হননে, রাস্তাঘাটে যে হিংস্রতা নিয়ে আমরা ক্ষতবিক্ষত করি ভিন্ন স্বভাব আর ভিন্ন পোশাকের নারীদের, তাতে বোধ হয়, আজ তিনশো বছর পরেও মধ্যযুগীয় সালেমবাসীর চাইতে আমরা এগোতে পারিনি। নানা অজুহাতে তিতুবাদের আজও আমরা শিকার করেই চলেছি ডাইনি আখ্যা দিয়ে।

[মে, ২০২২]