লেখালেখি

সেলিনা হোসেনের ‘লারা’, ক্রিস নোলানের ‘প্রেস্টিজ’

(১)
যখনই পড়তে বসি সেলিনা হোসেনকে, তার উপন্যাসগুলোর শেষে যেন সঙ্গী করতে হয় এক ধরনের আক্ষেপকে।

ছেলেমানুষি এক ধরনের সাহসিকতা আছে সেলিনা হোসেনের উপন্যাসে। তার প্রায় সমসাময়িক ঔপন্যাসিকেরা মানুষের মনকে নানা ভাবে ভেঙে দেখানোর যে রাস্তায় হেঁটেছেন, অথবা পূর্বপুরুষ ওয়ালীউল্লাহ কিংবা সৈয়দ হকের উপন্যাসেও যেমন পরিচয় মেলে নক্ষত্রবীথির চেয়েও অচেনা মানব মনের, সেলিনা সেখানে রীতিমতো ছেলেমানুষের মতো যেন পণ করেছেন পাড়ার ওইসব বড় ভাইদের অগ্রাহ্য করার। তার চরিত্ররা যেন মনে করায় আরো প্রায় অর্ধেক শতাব্দী পেছনের শরৎচন্দ্রের উপন্যাসকে, যারা এই পৃষ্ঠায় উপদেশ মারে তো পরের পৃষ্ঠায় কান্না চাপতে ঠোঁট কামড়ায়।

‘যাপিত জীবন’ উপন্যাসের কথাই ধরা যাক, দেশভাগের অব্যবহিত পরের জটিল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া মানুষের যে জীবন, সেলিনা সেদিকে আলো ফেলা তো দূরের কথা, টর্চ তোলার চেষ্টা পর্যন্ত করেন না। যে দম্পতি পশ্চিমবঙ্গে ফেলে এসেছে তাদের ত্রিশ বছরের জীবন, যে ছেলে তিনটে সেখানে কাটিয়েছে তাদের পুরো শৈশব এবং অনেকটা তারুণ্য, একটি বারের জন্যেও তারা স্মৃতিকাতর হয় না সে দেশের কথা ভেবে। যদি তাকাই ‘নীল ময়ূরের যৌবন’ উপন্যাসে, সেখানে আবার চরিত্রগুলো যেন কার্ডবোর্ডে বানানো একমাত্রিক। শিল্পী শুধু দরিদ্রই নয়, সাথে ভয়ানক রকমের ভালো। আর মন্ত্রী দেবল ভদ্র, উপন্যাসের খলনায়ক, তার আদ্যপান্তই শয়তানিতে ভরপুর।  আবার ‘আগস্টের একরাত’ উপন্যাসের দিকে যদি তাকাই, তো দেখি সেলিনা হোসেন আশ্রয় করেছেন তারিখ নির্ভর ইতিহাস শিক্ষা। অমুক সময়ে এই লোক এই কাজটি করেছে, তমুক তারিখ এই লোক এই কথা বলেছে। ফলে পাঠক হিসেবে কোথায় যেন শান্তি মিলতে চায় না আমার।

তবু যে সেলিনা হোসেন আমাদের একজন গুরুত্বপুর্ণ লেখক, সেটার কারণ বোধ করি, তার বিষয় নির্বাচন। গড়পড়তা পাঠক তো বটেই, বহু পাঁড় পাঠকের কাছেও জানা যায় যে ইতিহাসের অমুক অঞ্চল, সময় বা ব্যক্তিকে নিয়ে সেলিনার এই কাজটি গুরুত্বপূর্ণ; অন্ততঃ সংশ্লিষ্ট অঞ্চল, কাল বা ব্যক্তি প্রসঙ্গে পাঠককে কিছুটা সাধারণ ধারণা তার উপন্যাস দিতে পারে। কখনো দেশভাগ, কখনো ১৫ আগস্ট, কখনো চর্যাপদের রচয়িতাদের জীবনে উঁকি দিতে তাই বাঙালি পাঠকের জন্য ভরসাস্থল হয়ে থাকেন সেলিনা হোসেন।

ইতিহাসের চরিত্রদের বইয়ের পাতায় নড়াচড়া করতে দেখলে পাঠকের আগ্রহ বাড়ে, সে বোধ করে অতীতের সাথে একাত্মতা। কিন্তু এটাও সত্য, যে উপন্যাস যতটা ইতিহাসের, তার চাইতে অনেক বেশি ব্যক্তির। এবং মানুষের ভেতরটায় উঁকি মারতে না পারলে সে উপন্যাসকে পাঠক ঠিক গেঁথে ফেলতে পারে না তার মনের ভেতরে। এই হতাশা আমাকে খিন্ন করে বারবার, যখন আমি পড়ি সেলিনা হোসেনকে।

কিন্তু ‘লারা’ নয়, এই উপন্যাস অন্যরকম।

(২)
কোথায় লুকিয়ে আছে ‘লারা’ উপন্যাসের অনন্যতা? সেলিনা হোসেনের অন্যান্য রচনার চেয়ে ‘লারা’কে ভিন্ন বলে বোধ হয় ক্যানো?

উত্তরটা খোঁজার আগে খানিক তাকানো দরকার উপন্যাসের কাহিনির দিকে।

‘লারা’ উপন্যাস সেলিনার ব্যক্তিজীবন নিয়ে, তার আত্মজা লারা’কে কেন্দ্র করে। সেই ফারিয়া লারা, মা যার নাম রেখেছিলেন পাস্তারনাকের ‘ডক্টর জিভাগো’ উপন্যাসের নায়িকাকে ভালোবেসে। উপন্যাস যত এগোয়, মায়ের সাথে সাথে আরও দুই ভাই বোন, মুনা আর শমিকের জবানিতে পাঠকের সামনে তত স্পষ্ট হতে থাকেন লারা। দারুণ দুঃসাহসী সেই লারা, কারও-মুখে-পারবে-না শুনলে যে আরো ক্ষেপে গিয়ে কোনো কাজ সম্পন্ন করে ফেলতো। সংস্কারকে বিনা প্রশ্নে মানতে অনভ্যস্ত সেই লারা, লেখিকা মা’কেও যে চুপ করিয়ে দিতো অকাট্য যুক্তির উত্তরে।

মা’কে নিয়ে লারা ঘুরে বেড়ায় সুইজারল্যান্ড, কখনো যায় মার্কিন দেশে, কখনো সে জাপান ভ্রমণ করে হিরোশিমা দিবসে। স্বাবলম্বী লারা কখনো করে এনজিও’র কাজ, কখনো সে হয় দোভাষী, কখনো করে অনুবাদ। এই করতে করতেই একদিন লারা ঠিক করে বসে সে হবে বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট, ব্যাপারটায় এক ধরনের পরীক্ষা আছে, আছে প্রতিনিয়ত নিজের কর্মদক্ষতা প্রমাণের সুযোগ। দুঃসাহসী এই মেয়েটি সমস্ত ধাপ পেরিয়ে একসময় পাইলটও হয়ে বসে, হয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ফ্লাইং ইন্সট্রাকটর। অথচ লারার পুষ্পক রথরুপী সেসনা বিমানটার ফুয়েল শাট অফ বাল্ব ঝুঁকিতে আছে জেনেও পয়সা বাঁচাবার জন্য সেটা বদলায় না লারার নিয়োগকর্তা এয়ার পারাবতের কর্মকর্তারা। ফলে, আরো প্রায় এক দশক পরে নির্মিতব্য ‘রঙ দে বাসন্তী’ সিনেমার কথা পাঠককে খানিক স্মরণ করিয়ে শেষ হয় উপন্যাসটা।

মেটাফিকশনের ছকে এগোনো এই উপন্যাসে সেলিনা বহুবার বলে কয়ে ঢুকেছেন মুনা কিংবা লারার খোলসে। কখনো তুলে দিয়েছেন লারার দেয়া ধারণা থেকে নিজের লেখা নাটকের চিত্রনাট্য, কখনো দিয়েছেন কর্নেল তাহেরের ভাই আবু ইউসুফের মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতার অকারণ বিবরণ, কখনো বর্ণনা করেছেন সেসনা বিমানের বহু যান্ত্রিক খুঁটিনাটির।

অথচ, নিজের ভারাক্রান্ত মনের দিকে তাকিয়ে বেশ বুঝতে পারি যে এইসব কারিকুরি নয় শুধু, উপন্যাসের শেষে এসে আমাকে বিচলিত করছে অন্য কিছু। ফারিয়া লারার মর্মান্তিক মৃত্যুর ব্যপারটা ছাড়াও, পাঠককে যেন ঘোরগ্রস্ত করে তুলছে অপরিচিত স্বাদের একটি বিষাদ।

মনের সেই খচখচানিকে চিহ্নিত করার উপায় খুঁজতে থাকলে অকস্মাৎ আমার স্মরণ হয় ক্রিস্টোফার নোলানের ‘দা প্রেস্টিজ’ সিনেমার কথা।

(৩)
টানটান রহস্যে ভরপুর ‘দা প্রেস্টিজ’ সিনেমাটাকে নতুন করে পরিচিত করানোর আর কিছু নেই সিনেমাখোরদের কাছে। তবু যে দর্শক এখনও দেখেননি সিনেমাটা; দেখবেন ভবিষ্যতে, আর মুগ্ধ হবেন, তার জন্য তাই বরাদ্দ রাখতে হয় ঈর্ষা!

কী আছে সেই সিনেমায়? আছে, আলফ্রেড বোর্ডেন আর রবার্ট এঞ্জিয়ার নামের দুজন জাদুকরের অহমের বিরোধের গল্প। তারুণ্যে এই দুই জাদুকর কাজ করতো একই সাথে। ঘটনাচক্রে, হাত বাঁধা অবস্থায় পানির নিচ থেকে বেরিয়ে আসার এক বিপজ্জনক খেলায় মৃত্যু হয় এঞ্জিয়ারের স্ত্রী’র। এঞ্জিয়ার দুষে তার সহকর্মী বোর্ডেনকেই। শুরু হয় তাদের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, পেশাদারি জীবনের বাইরে সেটা প্রভাব ফেলে তাদের ব্যক্তি জীবনেও। ধীরে ধীরে দুজন জড়িয়ে যায় ‘ট্রান্সপোর্টিং ম্যান’ নামের (এক বাক্সে উধাও হয়ে যাওয়া মানুষ কীভাবে অন্য এক বাক্স থেকে বেরিয়ে আসে) এক খেলাকে কেন্দ্র করে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের দায়ে।

কিন্তু দুর্দান্ত চিত্রনাট্য আর সংলাপের যাদুতে মুগ্ধ হবার পরেও, ক্রিস্টোফার নোলানের সিনেমাটার শেষে দর্শকের মনে হতে থাকে, রহস্যের খাসমহলের বাইরেও কাহিনিটা কী যেন বলে গেলো আমাদের।

অনুভব করি, একটা ভালো উপন্যাসের কাহিনির আড়ালে যেমন লুকিয়ে থাকে ব্যাখ্যা করা কঠিন, এমন কোনো সত্য; ‘দা প্রেস্টিজ’ সিনেমাটাও তেমন একটা কাজ করেছে। নিছক এক রহস্য কাহিনির আবরণে সেটা আমাদের দেখিয়ে গেছে শিল্পের জন্য দুই জাদুকরের, শিল্পীর, নিবেদন।

‘দা প্রেস্টিজ’ সিনেমার দর্শক জানে, রঙ্গমঞ্চে হাজারো মানুষের সামনে নিজেকে প্রতিদিন মৃত্যুর সামনে দাঁড় করায় রবার্ট এঞ্জিয়ার, আর আলফ্রেড বোর্ডেন লোকচক্ষুর আড়ালেও জীবনভর স্বীকার করে যায় এক অভূতপূর্ব ত্যাগ, শুধুই শিল্পের দুনিয়ায় নিজেকে প্রমাণের জন্য। দর্শক দেখে যায়, ব্যক্তিজীবনের কথা না ভেবে একটা ঘোরাক্রান্ত হয়ে ছুটেছে দুই শিল্পী, দুজনেই চায় অপরকে, এবং নিজেকেও, ছাড়িয়ে যেতে।

(৪)
‘লারা’ উপন্যাসের শেষে এসে, খেয়াল করি, এঞ্জিয়ার আর বোর্ডেনের সেই স্মরণীয় দ্বৈরথ আবারও মনে পড়ে যাচ্ছে আমার। সেই সেলিনা, এই উপন্যাসে যিনি নিজের ব্যক্তিজীবনকে খোলাসা করেছেন নির্দ্বিধায়, সেই সেলিনা, যিনি এই উপন্যাসের চরিত্রগুলো তৈরি করেছেন নিজের জীবন ভেঙে, সেই সেলিনা, যিনি চিরায়ত বাঙালি মাতৃত্বের কোমলতায় আচ্ছন্ন কিন্তু উপন্যাসের টেবিলে বসে ফোটাতে চান ইতিহাসের কর্কশতা; তার লেখা ‘লারা’ ক্যানো আমাদের মনে করায় ক্রিস নোলানের সিনেমা?

অশান্ত মন কিছুতেই যেন উত্তর খুঁজে পায় না। এবং বিক্ষিপ্ত হাত যখন আবারো নেড়েচেড়ে দেখে উপন্যাসের পাতা, চোখ তখন চলে যায় বইয়ের ফ্ল্যাপে। বার কয়েক সেখানে চোখ বোলাতেই ঢেউ খেলে যায় মগজে। সেখানে লেখাঃ 

টানাপোড়েনের অজস্র অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে হেঁটে যায় কেউ কেউ। লেখক তাদের চিত্রিত করেন নিজেকেই ভেঙেচুরে নিয়ে। শিল্পের এই নির্মাণ জীবনের বিপরীতে ভিন্ন জীবন। এই উপন্যাস সেই জীবনের কথা বলে।

বুঝতে পারি তখন, এই অল্প কয়েকটা কথায় লেখকের জীবনের চিরন্তন এক সত্য বলে গেছেন সেলিনা। মৃদু স্বরে জানিয়ে গেছেন, দোয়েলের ফড়িঙের না হলেও, রবার্ট এঞ্জিয়ার আর আলফ্রেড বোর্ডেনের জীবনের সাথে, বহুবার দেখা দেখা হয় একজন লেখকের।

কীভাবে?

উপন্যাসের টেবিলে যখন লেখক বসেন, অজস্র দিনের অভ্যাসের পরেও, আমরা জানি, প্রতিটি দিন তাকে শুরু করতে নতুন করে। কলমের টানে প্রথম বাক্যটি লেখার আগে প্রতিটি ভোরে ঔপন্যাসিককে রক্তাক্ত হতে হয় ঠিক সেভাবেই, যেভাবে সে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলো নিজের প্রথম উপন্যাসের সূচনায়। সেলিনা হোসেনকেও তাই বুকের ভেতর জট পাকানো কিছু একটা নিয়ে দিনের পর দিন বুনতে হয়েছে ‘লারা’ উপন্যাসের বয়ান, ঠিক যেভাবে অপেক্ষমান দর্শকের সামনে প্রতিদিন মঞ্চে উঠে যন্ত্রণাকে বরণ করেছে রবার্ট এঞ্জিয়ার। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল তার স্ত্রী’র, এঞ্জিয়ার তাকে প্রতিটি দিন স্মরণ করেছে সেই দৃশ্যটি পুনঃনির্মাণ করে। ইকারুসের মতো ডানা পুড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছিলো ফারিয়া লারার’ও; কল্পনার ডানায় ভর করে লেখকের সংবেদনশীল আকাশে উড়তে গিয়ে সেলিনাকেও নিশ্চয়ই বহুবার যেতে হয়েছে আত্মজার সেই মৃত্যুদৃশ্যের ভেতর দিয়ে।

অন্যদিকে, আলফ্রেড বোর্ডেন আমাদের জানিয়ে গেছে, একটি মাত্র ম্যাজিকের জন্ম দিতে জাদুকরকে যাপন করতে হয় একের ভেতরে একাধিক মানুষের জীবন। সেলিনা জানেন ঔপন্যাসিকের জন্যেও সেই সত্য খাটে, তিনি তাই কখনো হন মুনা, কখনো বনে যান লারা। বোর্ডেন যেমন জীবনভর ফ্যালনের চরিত্রে অভিনয় করে ত্যাগ স্বীকার করেছে, জননী সেলিনাকেও তেমনই অভিনয় করে যেতে হয়েছে লেখকের চরিত্রে। একটি নিখুঁত খেল দেখানোর জন্য অঙ্গহানি করতেও দ্বিধা করেনি বোর্ডেন, ঠিক যেভাবে উপন্যাস লিখবেন বলেই মৃত আত্মজার মনের গহীনে ডুব মেরে নিজেকে ক্ষয় করেছেন সেলিনা হোসেনও।

একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাবার নেশায় মত্ত দুই জাদুকরের সাথে লেখকের জীবনের এই সাদৃশ্য খুঁজে পাই যখন, তখন চুপ করে বসে থাকি খানিক। জীবনে যা ঘটে, তার সমস্তই লেখকের জন্য কাঁচামাল, কিন্তু সেটিকে অন্যের গল্প করে তুলতে পারে কেবল মহৎ লেখকেরাই- এমন একটা বাণী ছেড়েছিলেন কেউ, আবছা আবছা মনে পড়ে।

তখন পাঠকের ভুলে যেতে হয় অতীতের যত জমিয়ে রাখা অনুযোগ। তখন পাঠক জেনে যায় সেলিনা হোসেনের মাহাত্ম্য, যার ‘লারা’ উপন্যাসের এক প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অন্য প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় পাঠক আর আগের মানুষটি থাকেনি, ঠিক যেভাবে অন্তর্ধানের পর দ্বিতীয় বাক্স থেকে বেরিয়ে এসেছে অন্য এক বোর্ডেন।

দর্শকের কাছে তাই স্মরণীয় হয়ে থাকে শিল্পী আলফ্রেড বোর্ডেন, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে যার শেষ কথা ছিলো,  এভ্রা-কা-ডেভরা!

আশা রাখি, পাঠকের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন সেলিনা হোসেনও, উপন্যাসের শেষ লাইনে এসে যিনি লেখেন, দুঃখই লেখকের স্থায়ী সুখ!

Previous

সাড়ে সাত ঘণ্টা / ২য় পর্ব

Next

পাঠকের সাথে লেখা

1 Comment

  1. সেলিনা হোসেনের গদ্য আমাকে খুব বেশি আকর্ষণ করে না। শব্দ-বাক্য-অনুচ্ছেদ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আবেগের আতিশয্য আমাকে দূরে তাড়িয়ে দেয়, অতোটা নিতে পারি না বলে। তাই অনেক বছর ধরেই তাঁর লেখার জগতে উঁকি দেই না।
    তবে লারা পড়েছিলাম। অদ্ভুতভাবে আবেগের টানেই পড়েছিলাম। হয়তো ব্যক্তিগতভাবে ফারিয়া লারা, লাজিনা মুনা, সেলিনা হোসেনকে কিছুটা চিনতাম বলেই।

    মজার কথা হলো নোলানের সিনেমাও আমার তেমন দেখা হয় না। নিঃসন্দেহে তিনি অসাধারণ চলচ্চিত্রকার, যা দেখেছি তাতে মুগ্ধই হয়েছি। কিন্তু তবু তাঁর সিনেমার গল্প ঠিক আমার জন্য নয়। আমি যে ধরণের গল্প দেখতে পছন্দ করি, সেরকম নয়। তাই শ্রদ্ধা, সম্মান, ভক্তি রেখেই নিজে সরে থাকি। দ্য প্রেস্টিজও দেখা হয়নি। আপনার আলোচনা পড়ে দেখার আগ্রহ হলো।

    আলোচনার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress & Theme by Anders Norén

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: