প্রাইমারি স্কুলের দুপুরবেলাটায় আমার করার কিচ্ছু থাকতো না। তখনো ডিশ অ্যান্টেনা অ্যাতোটা সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠে নাই, সূর্যতরুণ আর আবাহনীর ক্রিকেটের খবর পড়ে রইতো সংবাদপত্রের শেষের দিক থেকে তিন নম্বর পাতায়। বিটিভির পর্দা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ম্যাকগাইভার নামের মহানায়ক বাদ দিলে আমার যাবতীয় প্রেম তখন থেকেই গড়ে ওঠে অক্ষরকে ঘিরে।
মনে পড়ে, মাসের শুরুতে একটি মাত্র বইয়ের অনুমোদন আমার, বাবা অথবা মা হাত ধরে কোটি কোটি মাইল হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বইয়ের দোকানে। প্রতি মাসের সেই বহুল আকাঙ্ক্ষিত অভিযান বাদ দিলে একেবারে মহোৎসব জমে উঠতো বইমেলায়। একদম শুরুর দিকে কী ধরনের বই কিনতাম স্পষ্ট খেয়াল নেই। কমিকস জগতের টিনটিন, নন্টে-ফন্টে বা চাচা চৌধুরীর কথা মনে পড়ে। তার বাইরে কখনো হয়তো ভৌতিক গল্প, কখনো ঈশপ বা হান্স ক্রিশিয়ান অ্যান্ডারসন। কলোনীর ওইটুকু ছোট বাসাতেও দুপুরবেলায় বারান্দায় বেশ আলো-ছায়ার বিলাসিতা ছিলো, দুয়েকটা মৃত মানুষের দেখা দিয়ে যাওয়া টাইপ রদ্দি ভূতের গল্প বা সোনার কাঠি-রুপার কাঠির যাদুতে সেই বিলাস হয়ে যেতো আরো অর্থবহ। এসবের বাইরেও যে সাদার মাঝে কালো কালিতে একটা নতুন ধরনের জগতের অস্তিত্ব আছে, সেই বোধ আমার জন্মায় সেগুনবাগানের পেপারব্যাক থেকে। পরিচিতেরা বলবেন, অক্ষরের প্রেমে পড়ে আমার দুশ্চরিত্র হবার শুরুটাও তখনই।
শুরু হলো ঠিক, কিন্তু কম্পাসের কাঁটা আমার সেবা থেকে বিচ্যুত হবার শেষ বলে কিছু নাই।
সাতকুড়ি দুর্দান্ত সহচরকে সাথে করে এই রবিন হুড শেরউডের দুশ্চরিত্র শেরিফের বারোটা বাজাচ্ছে, আবার ওদিকে সান্তা মনিকার পথে ঘাটে কাকাতুয়া নিয়ে তোলপাড় করছে তিন গোয়েন্দা। কিশোর-মুসা-রবিন আবার অনেকরকম রুপ। কখনো এরা ভিতুর ডিম- লাল কুকুর চার দিয়ে পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডের আগপাশতলা ছুটে বেড়ায় মেরি চাচির বকা থেকে বাঁচতে, আবার মোম্বাসায় পোচার ধরতে গেলে এরাই দুঃসাহসী হয়ে উঠে প্লেন চালিয়ে একাকার করে ফেলে। তার সাথে রেজা-সুজা দুই ভাইয়ের একটু পরিপক্ক সব অ্যাডভেঞ্চার পড়তে গিয়েও কেবল একটিই আক্ষেপ থাকে, জর্জিনা পার্কারের সাথে তিন গোয়েন্দার কারো প্রেম ক্যানো হয় না?
ক্লাস টু থেকে খুঁজে আসা এই বিস্ফোরক প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি, কেবল আমার অনুভূতির দোকানকে ক্রমশ বিস্তৃত করে গেছে কিশোর ক্লাসিক, জুলভার্ন, ওয়েস্টার্ন, কুয়াশা আর মাসুদ রানা। টম সয়্যার এসেছে আমাদের কৈশোরের প্রেমের আবেগকে নিখুঁত অথচ পবিত্রতম ভাষ্য দিতে, পৃথিবীটাকে আশি দিনে গুটিয়ে এনে ফিলিয়াস ফগ আর পাসোপার্তুর অভিযান কল্পনার সাথে জুড়ে দিয়ে গেছে বিজ্ঞানকে, সেতার বাদক পরিচয়ের আড়ালে পৃথিবীর যাবতীয় অনাচার দূর করবে বলে আইন হাতে নেয়া কুয়াশা লিম্পোপো নদীতে ঝাঁপ দিয়ে চিনিয়ে গেছে ডার্ক নাইট,আর বাঁধনে জড়াবে না বলেও প্রেইরি থেকে আমাজন পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছে মাসুদ রানা।
আদ্যন্ত ঢাকা শহুরে ও কূপমণ্ডুক আমি। কিন্তু আমার হাইস্কুলের হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফেরা, তারুণ্যের সায়েন্স ক্লাবের মাতামাতি, কী বিশ্ববিদ্যালয়ের তুমুল আড্ডার ফাঁকে ঠাসাঠাসি করে বসবাস বুনো পশ্চিমের এরফান জেসাপ, সুন্দরী মোন্না ভ্যালেন্টিনা, মাকুমাজান অ্যালান কোয়ার্টারমেইন আর ধুরন্ধর বাটলার জীভসের। নাক উঁচু বেকি থ্যাচার টম সয়ারকে কেনো পাত্তা দেয় না ভেবে কষ্ট লাগে, আবার এরফানের চকিত চুম্বনে রাকা ওয়েস্টের গলে যাওয়া দেখে সুখও হয়। বিশাল আফ্রিকার দূরতম প্রান্তে বসতি গড়া কোনো অপরিচিত জাতের হাতে বন্দী হয়ে অ্যালান কোয়ার্টারমেইনের সাথে আগুন পোহানোর ফাঁকে আমাদের কার্বন ও সিলিকনের দ্বি-মৌল যৌগের তুচ্ছ জীবনেও তবু অনন্ত জাগে।
নস্টালজিয়ার আবেগকে সরিয়ে রেখে এবার বিষয়টাকে খানিক ব্যবচ্ছেদ করা দরকার। খেয়াল করা দরকার যে সেবার বইগুলো ঠিক কোনদিকে অনন্য।
প্রথমেই বলতে হবে, অতুলনীয় ওই স্বচ্ছন্দ ভাষারীতির কথা। উদাহরণের জন্য হাতের কাছে ‘ত্রিরত্নের নৌবিহার’ বইটা খুঁজে পেয়ে সেখান থেকে একটা অংশ তুলে দিলাম নিচেঃ
এরপর হ্যারিস আমাদেরকে শোনালো কীভাবে একবার সে চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলো সেই কাহিনী। চ্যানেল তখন এতোই বিক্ষুদ্ধ ছিলো যে সকল যাত্রীকে বার্থের সঙ্গে বেঁধে রাখতে হয়। গোটা জাহাজে সুস্থ ছিলো মাত্র দুইজন, সে আর ক্যাপ্টেন। কোনো কোনো সময় সে আর সেকেন্ড মেট। তবে সাধারণভাবে সে আর অন্য কেউ। যখন অন্য কেউ সুস্থ থাকতো না তখন কেবল সে একা সুস্থ থাকতো।
মূল বইটির অসামান্য রসবোধ অক্ষুণ্ণ রেখে এরচেয়ে প্রাঞ্জল অনুবাদ আর কারো পক্ষে সম্ভবপর ছিলো কি? আমার সন্দেহ কাটে না।
তবে এই অনবদ্য এই ভাষারীতির জন্ম কোথায় হলো, জানতে হলে আমাদের যেতে হয় বেশ পেছনে। দেখা যায় যে বন্ধু মাহবুবুল আমিনের দেয়া উপহার ইয়ান ফ্লেমিং এর ‘ডক্টর নো’ বইটি পড়ে সেবা প্রকাশনীর কর্নধার কাজী আনোয়ার হোসেন বুঝে গেলেন রহস্য-রোমাঞ্চ সাহিত্যের দুনিয়াজোড়া প্রচলিত গতিময় ভাষা এখনো বাংলায় অনুপস্থিত। ফলে সাতটি মাস কাঁটাছেঁড়া করে তৈরি হলো মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম উপন্যাস ধ্বংস-পাহাড়, যার ঝকঝকে ভাষা আজ অ্যাতো বছর পরেও বাংলা থ্রিলারের অদ্বিতীয় অবলম্বন। শুধু থ্রিলার নয়, সেবা প্রকাশনী যে নির্মেদ-টানটান গদ্য তৈরি করেছে, রচনার রকম যা-ই হোক, মানিয়ে যায় তা সাবলীল।
প্রশংসা করতে হয় সেবার আত্মীকরণেরও। মূল গল্পের স্বাদে ডিস্টার্ব না দিয়েই আকারে অনেকটা ছোট হয়ে এসেছে সেবার অনুবাদ ক্লাসিকগুলো, অচেনা ড্রইংরুম থেকে চেনা রেলস্টেশনে হাতে হাতে বইগুলোর পৌঁছে যাবার এটা একটা বড় কারণ। সপ্তদশ শতাব্দীর ইউরোপ বলো, বা ভবিষ্যতের ব্রহ্মাণ্ড-সন্ধানী কোনো মহাকাশযান বলো, বিদেশি গল্পের প্রেক্ষাপটের বাঙালিকরণে অভূতপূর্ব কাজ দেখিয়েছেন কাজীদা কোম্পানি লিমিটেড। এ প্রসংগে যখন চলেই এলো, বলতে লোভ হয়- তবু ধারণা করি সকলেরই জানা আছে যে, কাজীদার হাত ধরে সেবা প্রকাশনী আমাদের এনে দিয়েছে দারুণ সব লেখকদের। রকিব হাসান, শেখ আবদুল হাকিম বা নিয়াজ মোরশেদ; বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে এই নামগুলোর সবকটিই এখনো দারুণভাবে উজ্জ্বল।
প্রকাশিত বইয়ের পেছনে যে সারসংক্ষেপ বা টিজার, সেটার বয়ানেও সেবা প্রকাশনীর সমকক্ষ কাউকে এখনো পাইনি। দুয়েকটা উদাহরণ লক্ষ করা যাক।
‘ফ্রান্সের রাজা কে নিয়ে কী করতে চাও তোমরা?’
জবাব এলো, ‘তুমি আর রাজা নও!’অথবা
‘কে যায়?’
‘লাল পাঞ্জা হাক ফিন আর সাগরের আতঙ্ক জো হারপার।’
‘সংকেত?’
‘রক্ত!’
ক্লিফহ্যাঙ্গার দিয়ে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণের এই প্রচেষ্টা আজকের গেইম অফ থ্রোনস যুগেও কী ভীষণ আধুনিক, ভাবলে অবাক লাগে!
সেবা প্রকাশনীর নানামুখী কাজের ভিড়েও আমার ব্যক্তিগত পছন্দ তাদের কিছু গল্প সংকলন। মানুষ মানুষ খেলা, স্বর্গসৌরভ, পঞ্চরোমাঞ্চ বা ছায়াঅরণ্য যেমন। বিদেশি গল্পের নাম আর পটভূমি পালটে দেশি প্রেক্ষাপটে সেগুলোকে নতুন করে শুধু উপস্থাপনই করেনি, সেগুলোর ব্যক্তিত্বও ক্যামন পালটে গেছে ভীষণভাবে। কোনান ডয়েলের হোমসকে নতুন করে উপস্থাপনের জন্য স্টিভেন মোফাট গং যা করে দেখাচ্ছেন টিভি সিরিয়াল শার্লকে, অ্যাডাপটেশনের এই খেলা সেবার পুরোনো পাঠকদের কাছে আর নতুন কী?
কিন্তু তবু ইদানিং আমার মনে পড়ে যায় ইন্ডিয়ানা জোনসকে। সেই ইন্ডিয়ানা জোনস, কায়রোর রাস্তায় যার মুখোমুখি হয়েছে এক চাবুক হাতের ডাকাত। চাবুক ঘোরানোর নানা কায়দা কানুনে দর্শক বেশ উৎফুল্ল, কিন্তু উত্তেজনায় পানি ঢেলে দিয়ে গুলি চালিয়ে বসলেন প্রফেসর জোনস। একবিংশ শতাব্দীর এই জিডিপি মুখর সময়, বিশ্বায়নের সুফল ভোগ করা এই যুগে যখন ক্লিক করলেই জেমস রোলিন্স আর স্টিফেন কিং হাতের মুঠোয়, কয়েকটি দশক আর প্রজন্ম জুড়ে সেবা প্রকাশনীর নীরব পদচারণাটা অনুধাবনের জায়গাটা ক্রমশ হয়ে পড়ছে সংকুচিত।
সেবা প্রকাশনী এখন সেই ব্রাত্য হয়ে পড়া কায়রোর চাবুকওয়ালা। কপিরাইটের সত্যগ্রহ আন্দোলন, মূল গল্প সংকুচিত করবার অপরাধের দেয়াল লিখনে সেগুনবাগান আজ দিশেহারা। এ সমস্ত চার্জশিটের অভিভাবকদের সর্বজ্ঞতায় সন্দেহ পোষণ করি না। কিন্তু আমি জানি, কপিরাইটের বল্গা ছাড়া প্রবেশাধিকারে আমার শিক্ষাজীবন টইটম্বুর, বিশ্ব সিনেমার এক-একটা রত্ন দেখতে গিয়ে চূড়ান্ত অসৎ না হয়ে আমার উপায় ছিলো না। এসব অপরাধের বোঝা নিয়ে আমার বিদ্বান আঙুল কী-বোর্ডে কপিরাইট টাইপ করতে গিয়ে কেঁপে যায়।
একবার ভাগ্য হয়েছিলো কাজী আনোয়ার হোসেনের সাথে আড্ডা দেবার। সে এক অভিজ্ঞতা। কোটি কোটি প্রশ্ন ঠিক হয়ে আছে মনে মনে,অথচ তাঁর অমায়িকতায় বেমালুম ভুলে গেছি সব। ঠিক এই সময় কার যেন জিজ্ঞাসা, কাজীদার নিজের সৃষ্ট প্রিয় চরিত্র কোনটি। ঘর আলো করা হাসি দিয়ে কাজীদা জানান, গিলটি মিঁয়া!
আর তখন আমাদের মনে পড়ে যায় সেবার ওইটুকু পেপারব্যাকে কত আশ্চর্য জীবন আমরা কাটিয়ে দিয়েছি। বন্ধুত্বের সংজ্ঞা জেনেছি ভিনসেন্ট গগলকে দিয়ে,কুয়াশার সরোদে শিখেছি বিষণ্ণতা, কেঁদেছি লিটল জনের পাশে দাঁড়িয়ে দস্যু রবিন হুডকে কবর দিতে গিয়ে। সোহানা নয়,প্রেমে পড়েছিলাম আমরা রুপার। চিরদিনের জন্যে মনে দাগ কেটে গেছে মাইকেল সেভার্স,চেয়েছি প্রতিপক্ষ হলে সে যেন হয় অন্ততঃ মিস্টার সিম্পসন। আর গুরু যদি মানি কাউকে-সে যেন হয় রাহাত খানের মতোই। কিন্তু অ্যাতো সব ঝলকানো আলোর মাঝে গিলটি মিঁয়ার জায়গা কোথায়? পাদপ্রদীপের আড়ালেই চিরটাকাল থাকতে চাওয়া কাজী আনোয়ার হোসেন কি তবে এখানেও সচেতন ভাবে আমাদের দৃষ্টি টেনে আনলেন খাঁটি স্বদেশি একটি মানুষের দিকে? সেই গিলটি মিঁয়া, পুরোন ঢাকার অলিগলি যার নখদর্পণে, আমাদের সাদা পুরুষ ও রঙিন মেয়েমানুষের নতুন ঢাকায় যে ক্রমশ হয়ে পড়েছে ব্রাত্য- সেই গিলটি মিয়াঁর প্রতি কাজীদার পক্ষপাত কি আমাদের কোনো বার্তা সত্যিই দেয়?
বোঁদলেয়ার বলেছিলেন, শৈশবকে পুনরুদ্ধার করতে পারার ক্ষমতাই প্রতিভা। সেই সংজ্ঞা বর্ণে বর্ণে সমাপতিত হয় সেবা প্রকাশনীর লেখকদের প্রতি। এখনো চোখ বুজলেই দেখতে পাই, জেনারেল তূর্গেই তুর্গেনিভকে বাঁচাতে আটলান্টিক এক্সপ্রেসের শ্বাসরুদ্ধকর যাত্রায় আমি আর মাসুদ রানা লড়ছি পাশাপাশি, গ্রিক উপসাগরের কোনো ক্ষুদে দ্বীপে পুরাণে বর্ণিত মেডুসার আওতায় পড়ে পাথর হয়ে যাচ্ছি, রুপালি মাকড়সা বাঁচাতে ভ্যারানিয়ার রাজপথে আমারই হাতে বেজে উঠছে প্রিন্স পলের ঘন্টা। করোটির এসব অগণিত কাঠঠোকরা জানান দেয় প্রতিনিয়ত, একদিন জীবন অন্যরকম ছিলো।
প্রাইমারি স্কুলের দুপুর থেকে শুরু করে শৈশব-কৈশোরের অগণিত এসব স্মৃতির পেছনের কারিগরদের ভাবলে ঘোর লাগে। সমস্ত নোংরামি নিয়ে চলা যুগধর্ম আর প্রতিনিয়ত খুন হয়ে যাওয়া স্বপ্নের বধ্যভূমি আমাদের স্বদেশে সেবা পাঠকদের হাতে এখন এই একটিই নিশ্বাস নেবার মতো কল্পজগৎ রয়ে গেছে। সেখানে কান পাতলে শোনা যায়, গোজোর পাহাড়ে পাহাড়ে বাতাসের ফিসফিসানি। চাপা স্বরে কী সব জল্পনা-কল্পনা। সেখানে দিনের সমস্ত কোলাহল শেষে আকাশের উজ্জ্বল তারাটি মিটমিট করে জ্বললে বন্ধুকে না ভোলার আহবান শোনা যায় লুবনা আভান্তির।
সেবা প্রকাশনী আমাদের ফুরিয়ে যাওয়া দিনের শেষে ওই উজ্জ্বল তারার বেশি কিছু কখনো হতে চায়নি। স্মৃতির কাঠঠোকরার বেশি কিছু আয়ূ তার চাইবার ছিলো না কখনো।
[২০১৮]
Leave a Reply