৩১ মে, ২০১৮।
ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া।
উপমহাদেশের অলিগলিতে মাস্তানি করে বেড়ানো ইংরেজের ছায়া আধুনিক ইউরোপের কোথাও নেই, ফ্রেঞ্চদের সাথে এখানে-ওখানে দুয়েকবার ডুয়েলে নামা ছাড়া। মধ্য ইউরোপে গেলে বরং হফসবুর্গ সাম্রাজ্য বিস্তীর্ণ এবং আজও সমীহ জাগানিয়া। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাকে সবচেয়ে ভালো ট্যাগলাইন দিয়ে গেছে এই হফসবুর্গরাই- ইউরোপের শুরু এখানেই।
সত্যি বলতে, পুঁজিবাদের শুরু যে এখানে, সে কথা একেবারে চোখের পলকে বুঝে নেয়া যায়। মিউজিয়াম চত্বরে দাঁড়ালেই নজরে পড়ে দানবীয় সব ভাস্কর্যে ভরে থাকা বাগান। মধ্যযুগের ফিল দিতে ঘোড়াগাড়ির সুবেশী সহিস পাকড়াও করে বেড়াচ্ছে আগ্রহী ট্যুরিস্টদের। রাস্তার ওপারে গেলেই জগদ্বিদিত অপেরা। ভেতরে ঢুকতে না পারা লোকে ভিড় করে অপেরা দেখছে টিভিপর্দায়। কিন্তু লুই ভুটন আর টিফানি এন্ড কোং-এর ঝকমকে শোরুমের আলোয় ঘাবড়ে গেছেন চারপাশের পোসাইডন, সিগমুন্ড ফ্রয়েড আর গ্যেটে’রা।
বিভ্রান্ত ওসব বিদ্বানদের ফেলে রেখে মিউজিয়ামে একবার মন বসাতে পারলে অবশ্য ভালোই লাগে। হফসবুর্গদের বড়লোকি চালের সাথে কবেকার মিশরের প্যাপিরাসের পাতা থেকে উঠে এসে কথা বলে যাচ্ছে হায়ারোগ্লিফিকস লিপি; অন্যদিকে টিনটোরেটো আর রঁদ্যার পাশে সমান চালে পা চালায় সেদিনের পিকাসো, রেমব্রান্ত, মাতিস।
Leave a Reply