৮ জুন, ২০১৮।

বার্লিন, জার্মানি।

10 Berlin.jpg
প্রাচীন সভ্যতা থেকে ইসথার গেট বা নেফারতিতির মূর্তি তুলে এনে দূর ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি ফেরাতে চাইলেও এই শহর আসলে নিজেই ইতিহাসের কেন্দ্রীয় অভিনেতা। বিয়ার কি বাইসাইকেল নয়, বার্লিন সমার্থক হয়ে গেছে হিটলারের। জুকারবার্গের ফেসবুকে সময় কাটানো প্যালেস্টাইন প্রেমী আবহমান বাংলার কাছে লোকটি আবার হিরো। বাঙালির আরেক পোস্টার বয় আজাদ হিন্দের নেতাজী সুভাষও ঘাটি গেড়েছিলেন এই বার্লিনেই, কবি দাউদ হায়দারের সাথে নেতাজীর সেই আস্তানাও দেখে আসা হয়েছে- কিন্ত সে গল্প অন্যদিন।

এদিকের চলমান গল্পে টপোগ্রাফি অফ টেররে গেলেই টের পাওয়া যায়, স্পেন্সার চ্যাপলিনের গোঁফজোড়ার খুনীটি ইউরোপ জুড়ে কী চালিয়েছে। সাদাকালো ফটোগ্রাফে যুদ্ধের শরণার্থীদের ছবির সাথে আবার আধুনিক ইউরোপের রাস্তাঘাটে সুলভ উদ্বাস্তু সিরিয়াবাসীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। আর হিটলার, হিমলার, আইখম্যানে ঘৃণা ধরে গেলে হাতে থাকে বার্লিনের দেয়াল।

ইউটোপিয়ার সমাজতন্ত্র দেয়াল তুলে দিলো; কিন্তু মিথ্যাচার-মানুষের কন্ঠ রোধ-গোপন পুলিশের দাপটে সেই দেয়াল ভাঙতে মানুষই হাতে তুলে নিলো শাবল। লেনিনের বিদায় হয়ে গেছে, পুঁজিবাদের সুরেলা কনসার্টমুখর আলেকজান্দ্রাপ্লাজ থেকে মার্ক্স-এঙ্গেলস এখন পাশের পার্কে গিয়ে লুকিয়ে আছেন। আধুনিক ইতিহাসের এই পানিপথ থেকেই, সুহানও আপাতত তাই সাইনিং আউট।