২ জুন, ২০১৮।

প্রাগ, চেক প্রজাতন্ত্র।

08 Prague.jpg

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রাঞ্জ কাফকা ঠিক এ শহরেই স্থির করেছিলেন, যে তাকে লিখতে হবে। বেড়ে ওঠার শহর প্রাগের আদল কাফকার একাধিক লেখাতে উঠে এলেও লোকটা কিন্তু লিখে গেছে জার্মান ভাষায়। এই বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দিতেই শহরবাসী আজও গেঞ্জি থেকে সুভ্যেনিরের গায়ে কাফকার ছাপ্পড় ঝুলিয়ে রাখে।

কিন্ত গথিক আর রেনেসাঁস আদলের স্থাপত্যের বাহারে সুন্দরী হয়ে থাকা প্রাগের ভক্তদের আগ্রহ কাফকা বা পাভেল নেদভেদে নেই। টিন চার্চ, সেন্ট ভিটাসের ক্যাথিড্রাল, না হলে প্রাগ দূর্গের আশপাশে ভিড় করতে তারা উদগ্রীব। চার্লস ব্রিজের এপার-ওপার আর জন লেননের দেয়ালের সামনে সেল্ফি মেরে শহরটিকে শালারা পুরো গাউসিয়া বানিয়ে নিয়েছে। আমরা এসেছি বলে তোদেরকেও আসতে হবে? ভাবলেই মেজাজ চড়ে যায়।

মন শান্ত করতে প্রয়োজনীয় নীরবতার জন্য তাই দূরে সরে পড়া দরকার। ভ্লাতাভা নদীর তীর ধরে খানিকটা এগিয়ে নি:সঙ্গ কোনো হারমোনিকা বাজানো যুবক, অথবা মালা স্ট্রানার গলিঘুপচির কোনো সস্তা ক্যাফেতে উচ্ছ্বল স্বর্ণকেশীর সাথে কথা বলতে পারলে আরো ভালো। অগণিত এটিএম বুথ, মেট্রো আর ট্যুরিস্টের শোরগোলেও প্রাগকে তখন ঠিক মনে হবে মধ্যযুগের কোনো রুপকথা। আ ল্যান্ড নেইমড ফার ফার অ্যাওয়ে।